সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে নিয়ে গেলেন ছাত্রলীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

দুই বছর আগে স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে গেছেন। অনেক টাকাও নিয়েছেন। এখন আরও টাকার জন্য ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। যশোরের চৌগাছায় ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে এভাবেই অভিযোগ করলেন চৌগাছা উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান হোসেন। গতকাল দুপুরে যশোর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সোলাইমান হোসেন বলেন, ‘চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সহ-সভাপতি ছোটদিঘড়ী গ্রামের আইজেল হকের ছেলে সাদেকুর রহমান বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের বাড়িতে আসতেন। এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া তৈরি করেন।  ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই বাজার থেকে ফিরে জানতে পারি, সাদেকুরের সঙ্গে আমার স্ত্রী চলে গেছেন। যাওয়ার সময় ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার সোনার গহনা নিয়ে যায়।’

এ ব্যাপারে ২০১৮ সালে ৩ সেপ্টেম্বর তিনি যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। এর কয়েকদিন পর ২২ সেপ্টেম্বর ফ্রিজ কিনতে ঝিনাইদহের কোঁটচাদপুর বাজারে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার গতিরোধ করে ও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মারপিট করে কাছে থাকা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরদিন এ ব্যাপারে আদালতে তিনি আরও একটি মামলা করেন। দীর্ঘদিন সাদেকুর সপরিবারে সিলেট ছিলেন। সম্প্রতি এলাকায় ফিরে বিভিন্ন মাধ্যমে আবারও হাত-পা ভেঙে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। সোলাইমান হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাকে মারপিট, হত্যার হুমকি, স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়া ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমান এখন চৌগাছা ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন। আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাটক সাজিয়ে মামলা ও হয়রানি করতে পারেন বলে আমি চরম আতঙ্কের মধ্যে আছি। এ অবস্থায় প্রতিকার পেতে আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

এদিকে ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমান তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পারিবারিক কলহের কারণে ২০১৬ সালের দিকে সোলাইমান হোসেন ও তার স্ত্রীর মধ্যে তালাক হয়ে যায়। এরপর ২০১৮ সালে পারিবারিকভাবে সালমার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমি কারও স্ত্রীকে বিয়ে করিনি। তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে বিয়ে করেছি।’

সর্বশেষ খবর