পুলিশের সাজানো অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে আট পুলিশ সদস্যসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সমর কৃষ্ণ চৌধুরী নামে একজন আইনজীবীর সহকারী এ মামলা দায়ের করেন। গতকাল চট্টগ্রামে তিনি বাদি হয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে এ মামলা করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদির আইনজীবী জুয়েল শীল। মামলায় আসামিরা হলো, বোয়ালখালী থানার সাবেক ওসি হিমাংশু কুমার দাস, বর্তমান সিএসআই মো. আতিক উল্যা, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এসআই মো. আরিফুর রহমান, সাবেক ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম আখন্দ, সাবেক এসআই মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী, এসআই রিপন চাকমা, এএসআই আলাউদ্দীন, এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন, লন্ডন প্রবাসী সঞ্জয় দাস, সঞ্জয় দাসের কেয়ারটেকার সজল দাশ গুপ্ত ও সারোয়াতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার দিদারুল আলম। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ মে বোয়ালখালী থানা পুলিশ সমর কৃষ্ণ চৌধুরীকে তার নিজ বাড়ি থেকে ৩৬০ পিস ইয়াবা ও একটি অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। পরিবারের দাবি, পুলিশ তাকে নগরের জহুর হকার্স মার্কেট থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ৩৬০টি ইয়াবা ও একটি অস্ত্র দিয়ে ফাসিয়ে দেয়। পরদিন ২৮ মে মাদক ও অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এর আগে ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর সমর চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ২০১৮ সালে ১৫ মার্চ তার বিরুদ্ধে বোয়ালখালী থানায় আরেকটি মামলা হয়। মাদক আইনে দায়ের করা দুটি মামলার পর অস্ত্র আইনের মামলা থেকেও খালাস পান সমর কৃষ্ণ চৌধুরী।