শিরোনাম
বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সিলেট আওয়ামী লীগ চমকের অপেক্ষায়

কেন্দ্রের হাতে জেলা ও মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

অবশেষে কেন্দ্রে জমা পড়ল সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। উভয় কমিটির শীর্ষ নেতারাই বলছেন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকছে চমক। ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের মূল্যায়নের পাশাপাশি কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে ক্লিন ইমেজের সাবেক ছাত্রনেতাদের। দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় এবার কমিটিতে ঠাঁই হয়নি বিতর্কিতদের- এমন দাবি জেলা ও মহানগর শাখার শীর্ষ নেতাদের। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সম্মেলনে অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানকে জেলা শাখার সভাপতি, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে সাধারণ সম্পাদক এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদকে মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অধ্যাপক জাকির হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজে হাত দিলেও করোনা পরিস্থিতিতে থেমে যায় কার্যক্রম। অবশেষে কেন্দ্রের নির্দেশে গত রবিবার জেলা ও সোমবার মহানগর আওয়ামী লীগ পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে স্থান পেতে গত কয়েক দিন থেকে চলছিল পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে তদবিরের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও চলছিল লবিং।

এদিকে কেন্দ্রের কাছে কমিটি জমা হওয়ার পর বেড়ে গেছে পদপ্রত্যাশীদের টেনশন। কমিটিতে কাক্সিক্ষত পদ পাওয়া নিয়ে অনেকেই রয়েছেন শঙ্কায়। কমিটির ব্যাপারে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করায় পদপ্রত্যাশীদের টেনশন বেড়ে গেছে আরও কয়েকগুণ। নানা মাধ্যমে চেষ্টা করছেন কমিটিতে নিজেদের অবস্থান জানার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৭৫ সদস্যের সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে রয়েছে বড় চমক। নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সাবেক কমিটির কয়েকজন সম্পাদক। নতুন করে কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা। প্রথম সহসভাপতি ও প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে রয়ে গেছে ধূম্রজাল। সাবেক সহসভাপতিদের মধ্য থেকে কেউ প্রথম সহসভাপতি হচ্ছেন, না নতুন কেউ এ পদে আসীন হচ্ছেন- নেতা-কর্মীদের কাছে এখনো গোলকধাঁধার মতো ঘুরছে সেই প্রশ্ন। এ ছাড়া প্রথম যুগ্ম সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলরের নাম। রাজনীতিতে অনেকটা নিষ্ক্রিয় থাকা ওই কাউন্সিলর শেষ পর্যন্ত প্রথম যুগ্ম সম্পাদক হলে দলের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে-এমন কানাঘুষাও চলছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে। এ ছাড়া কমিটি থেকে সাবেক কমিটির কয়েকজন সম্পাদকের নাম বাদ পড়ার খবরেও নেতা-কর্মীদের মাঝে চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে। তবে কমিটি প্রসঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ জানান, কমিটিতে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। নেত্রীর নির্দেশ মতো কোনো চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের কমিটিতে রাখা হয়নি। ছাত্রলীগ ও যুবলীগ করে আসা স্বচ্ছ ইমেজের নেতাদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। এদিকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে আগের কমিটির সক্রিয় ও ত্যাগীদের। কমিটিতে ধারাবাহিকভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে তাদেরকে। কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসা নেতাদের। নতুনদের জায়গা করে দিতে কমিটিতে রাখা হয়নি এক পরিবারের একাধিক জনকে। এতে কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন আগের কমিটির দুই নারী নেত্রী।

কমিটি প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, যারা দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন কমিটিতে তাদের কাউকেই অবমূল্যায়ন করা হয়নি। যোগ্যদের পদোন্নতি দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া দলের ক্লিন ইমেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদেরও সুযোগ দেওয়া হয়েছে কমিটিতে।

সর্বশেষ খবর