বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রিকশা-ভ্যানের লাইসেন্স পেতে নগর ভবনে ভিড় মালিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিকশা-ভ্যানের লাইসেন্স পেতে নগর ভবনে ভিড় মালিকদের

দীর্ঘ ৩৪ বছর পর রিকশা-ভ্যানের লাইসেন্স দেওয়ার ঘোষণার পর ঢাকা দক্ষিণ নগরভবনে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন রিকশা-ভ্যান মালিকরা। গত তিন দিনে ৩৬ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। তবে কতটি রিকশা-ভ্যানের লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং ফি কত নেওয়া হবে তা এখনো ঠিক করতে পারেনি ডিএসসিসি। এদিকে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে নগরীতে এখনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল অব্যাহত রয়েছে।

শ্যামপুর এলাকা থেকে আবেদনপত্র নিতে এসেছেন হারুনুর রশীদ। তার ৭০টি রিকশা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রতি মাসে স্থানীয় প্রতিবন্ধী সংস্থাকে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা চাঁদা দিয়ে এতদিন রিকশা পরিচালনা করতে হয়েছে। এখন সিটি করপোরেশন থেকে নিবন্ধন দিলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।  গেন্ডারিয়া এলাকা থেকে আসা মরণ মৃধা বলেন, তার নিজস্ব দুটি রিকশা রয়েছে। এ রিকশা নিবন্ধন করতে তিনি নগরভবনে এসেছেন।

নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুর ইউনিয়ন থেকে আবদুল কুদ্দুস খান, লিটন সরকার ও সোহেল খান এসেছেন ২৫টি রিকশার লাইসেন্স করতে। লিটন সরকার বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে আসলেও আমাদের রিকশা ঢাকা সিটির মধ্যে চলাচল করবে, এজন্য এখান থেকে নিবন্ধন করতে আবেদন জমা দিচ্ছি।

জানা যায়, রাজধানীর যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে রিকশার নিবন্ধন দেওয়া বন্ধ করা হয় ১৯৮৬ সাল থেকে। এরপর শুধু নিবন্ধন থাকা ৭৯ হাজার ৫৫৪টি রিকশা-ভ্যানের লাইসেন্স প্রতি বছর নবায়ন করা হয়। তবে সিটি করপোরেশনের ওই সিদ্ধান্তে রাজধানীতে রিকশার সংখ্যা কমাতে পারেনি। বরং দিনদিন বেড়েই চলেছে। ২৮টির মতো সংগঠনের নামে অবৈধভাবে নেম প্লেট লাগিয়ে মাসিক চাঁদা দিয়ে রাজধানীর বুকে চলতে থাকে কয়েক লাখ রিকশা-ভ্যান। সিটি করপোরেশন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হলেও সংগঠনগুলোর নেতারা চাঁদার টাকায় ফুলে ফেঁপে ওঠেন। ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর অবৈধ এসব রিকশা-ভ্যানকে বৈধতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুসারে গত রবিবার থেকে নগর ভবন ও আঞ্চলিক অফিসগুলো থেকে ফরম দেওয়া শুরু হয়েছে। ফরম প্রতি নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা করে। এ ফরম পেতে নগর ভবন ও আঞ্চলিক অফিসগুলোতে রিকশা-ভ্যান মালিকদের দীর্ঘ লাইন শুরু হয়েছে।

সর্বশেষ খবর