বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পিঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পিঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে : অর্থমন্ত্রী

পিঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আমাদের হাতে যেটা আছে। যদি রাজস্ব খাতে কোনো কিছু করার থাকে অবশ্যই ছাড় দেওয়া হবে। অতীতেও বিবেচনা করা হয়েছে এখনো বিবেচনা করা হবে। গতকাল অনলাইনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ভারত পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে দেশের বাজারে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে, এ পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে পিঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ কমানোর জন্য।

 তারপরও পিঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে জনগণ দুর্ভোগে পড়ছে। এই দুর্ভোগ লাঘবে কী পদক্ষেপ নেবেন জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, জনগণের দুর্দশা বাড়ুক এটা চাই না।

 প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমরা কেউ প্রত্যাশা করি না। যদি রাজস্ব খাতে কোনো কিছু করার থাকে অবশ্যই ছাড় দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের অসৎ উদ্দেশ্যকে আপনি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে কীভাবে দেখবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, প্রথমতো আমি ব্যবসায়ী ছিলাম আপনি কী করে জানলেন। আমি একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলাম। পাশাপাশি একটি অডিটফার্মের মালিক সেখানে কাজ করাকে কোন জাতের ব্যবসা বলবেন। গত ১০ বছরে আমার কোনো ব্যবসা আপনার নজরে পড়েছে। আমি ব্যবসায়ী ছিলাম এখনো ব্যবসায় থাকতে পারি? আমি এখন মন্ত্রী, মন্ত্রী হলে ব্যবসা করতে পারে না। এটা ইল্লিগ্যাল। আর আমি ব্যবসা করিও না সবাই জানেন। অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য কী ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার একটু অংশ ছিল। যদি কোনো কারণে রাজস্ব বাড়িয়ে দেই। সে কারণে যদি দাম বাড়ে সেটার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় দায়ী। আর বাকি অংশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ। আমার মনে হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দেখাশোনা করছে। অতীতেও সমস্যা হয়েছিল পড়ে তা সমাধান হয়েছে। আর ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে আমার কিছু বলা লাগবে না। এখন যে আলোচনা হয়েছে তাই পরিষ্কার মেসেজ। এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এডিবি তো সারা বছরই কাজ করে। আর আমরা করি বছরে একবার। তারা আমাদের সম্পর্কে খারাপ বলেনি ভালোই বলেছে। তারা বলেছে আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ হবে। এডিবি বলেছে, বাংলাদেশ ধীরে হলেও শুরু করেছে। আমরা ধীরে হলেও এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা ৫.২ গত বছর বলেছিলাম। সেটা ৫.২৪ অর্জন করেছি। এ বছর আমাদের আশা গত বছর আমরা যেটা করতে পারিনি ৮.২ ভাগ। আমরা ৬.৮ ভাগ যদি করতে পারি তাহলে আমরা সাউথ এশিয়া বা সাউথ ইস্ট এশিয়ার সব দেশের মধ্যে ৩ নম্বরে থাকব। আর গত বছর যেটা ছিল ৫.২৪ সেটাও এ অঞ্চলের মধ্যে সবার ওপরে। এ বছরও ৬.৮ সেটা বিবেচনা করেন তাহলে আমাদের ওপরে থাকে মাত্র ভারত আর চীন। আমি মনে করি আমরা ভালোভাবে এগোচ্ছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর