প্রায় ৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কালো তালিকাভুক্ত তিন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। গতকাল দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের জনসংযোগ কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে ১৪ ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর অন্যতম হলেন এ তিন ঠিকাদার। দুদকসূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যের ঠিকাদার মেসার্স এম এইচ ফার্মার মালিক মো. মোসাদ্দেক হোসেনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৭৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর মধ্যে ১ কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার ২৩৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের কথা বলা হয়েছে। অবৈধ সম্পদের মধ্যে রংপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন মৌজার জমি, বাড়ি, ঢাকায় ২টি ফ্ল্যাট কেনা, পুকুর, ডোবা কেনা ও ভবনের তথ্য রয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় মেসার্স অভি ড্রাগসের মালিক মো. জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৫১ হাজার ২৭২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অনুসন্ধানে রেকর্ডপত্র, আয়কর নথি ও তথ্যাদি পর্যালোচনায় জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ১ কোটি ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনেছে দুদক। অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে রংপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন মৌজার জমি, বাড়ি, পুকুর ও ডোবা কেনা। মেসার্স আলবিরা ফার্মেসির মালিক মো. আলমগীর হোসেন দুদকের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৯৫ লাখ ৫০ হাজার ৮৫৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এর বাইরে দুদকের অনুসন্ধানে ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৮৭৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার ৭৩২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জনের দায়ে আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলাটি হয়েছে।
