শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অবশেষে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগে ঐক্য

কমিটিতে থাকছেন বিতর্কিতরাই

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

অবশেষে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যস্থতায় আপাতত খুলনা জেলা আওয়ামী লীগে ঐক্য হয়েছে। জেলা সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী স্বাক্ষরিত ৭৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তবে ওই কমিটিতে প্রস্তাবিত কমপক্ষে এক ডজন নেতার বিরুদ্ধে পরস্পরের আপত্তি রয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা আপত্তি যাচাই-বাছাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। গতকাল কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, চলতি মাসের শুরুতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সভায় ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা ও মহানগরী আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দিতে বলা হয়। তবে খুলনায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে একমত হতে পারেননি নেতারা। যার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা সভাপতি নিজ অনুসারীদের নিয়ে একটি ও সাধারণ সম্পাদক আরেকটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করেন। এ অবস্থায় তৃণমূলে ঐক্য ফেরাতে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যস্থতায় ঢাকায় বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন ও সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জেলা সভাপতি-সম্পাদকের প্রস্তাব সমন্বয় করে ৭৫ সদস্যের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  সুজিত অধিকারী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নির্দেশনা মেনে দলের জন্য যারা নিবেদিত, ত্যাগী-পরীক্ষিত তাদের কমিটিতে জায়গা দিতে চেয়েছি। কিন্তু প্রস্তাবে উপজেলা নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের অনুসারী, জামায়াত পরিবারের সন্তান, বিতর্কিত হাইব্রিড, সার্টিফিকেট জালিয়াতে অভিযুক্ত, দলের প্রাথমিক সদস্য পদও নেই এমন কিছু মহিলা সদস্য, অর্থবিত্তবানদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বলা হয়েছে। আমি এর বিরোধিতা করেছি।’ অন্যদিকে ডুমুরিয়া উপজেলা থেকে খুলনা জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুই ব্যক্তিকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিরুদ্ধে জেলা সভাপতি আপত্তি তুলেছেন বলে জানা গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত এদের সবাই কমিটিতে থাকছেন বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছেন। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘জেলা কমিটি নিয়ে দুজনের মধ্যে কিছু মতবিরোধ ছিল। খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমন্বয় করে দেওয়া হয়েছে। জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাবেক সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজার ছেলে এস এম খালেদীন রশিদী সুকর্ণসহ তরুণ নেতৃত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর