শিরোনাম
সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে বিপাকে দুই সিটি

► লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় মাঠে সিটি করপোরেশন
► ডিএনসিসিতে অভিযান, ডিএসসিসিতে প্রক্রিয়া শুরু

শফিকুল ইসলাম সোহাগ ও জয়শ্রী ভাদুড়ী

হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে বিপাকে দুই সিটি

বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে বিপাকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দুই সিটি করপোরেশনের বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্সের পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা। হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া থাকায় পূর্ণ হচ্ছে না রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা, ব্যাহত হচ্ছে নগর উন্নয়ন কাজ। তাই বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে মাঠে নেমেছে সিটি করপোরেশন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র (ডিএনসিসি) আতিকুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নগরে থাকতে হলে সবাইকে ট্যাক্স দিতে হবে। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি সিটিতে অনেকেই ডিএনসিসির সুবিধা নিয়ে থাকেন, কিন্তু ট্যাক্স দিচ্ছেন না। এখন থেকে কঠোর অবস্থানে যাব আমরা। তবে আমরা ট্যাক্সের রেট বাড়াব না। যারা এর আওতাভুক্ত ছিলেন না, তাদের আওতাভুক্ত করা হবে। বকেয়া পাওনা থাকলে পরিশোধ করতে হবে। এ জন্য আমরা একযোগে চিরুনি অভিযানে নেমেছি।’ ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত অর্থ বছরে হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে আয় হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০০ কোটি টাকা। বকেয়া আদায়ে আমরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। এতে ভালো সাড়া পাচ্ছি। অভিযানের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে নগরবাসীকে ট্যাক্স দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। রাজস্ব আদায় না হলে নগরের উন্নয়ন করে সিটি করপোরেশনের নিজের পায়ে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে।’ ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫০ কোটি টাকা। সংস্থাটি আদায় করেছে মাত্র ১৮২ কোটি টাকা। এতে বকেয়া রয়েছে ১৬৮ কোটি টাকা। বকেয়া থাকায় করপোরেশনের ব্যয় মেটাতে মুশকিলে পড়তে হচ্ছে সংস্থাকে। তাই এসব বকেয়া আদায়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। এসব বকেয়া টাকার মধ্যে বাড়ির মালিকদের চেয়ে অধিকাংশই বিভিন্ন সরকারি সংস্থার। এমনকি প্রায় ৪০-৫০টি সরকারি এবং আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছেই পাওনা রয়েছে শতকোটি টাকা। আর এভাবেই বছরের পর বছর অপরিশোধিত হোল্ডিং ট্যাক্সে দুই সিটি করপোরেশনের সেবা নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

নতুন করে যেসব ভবন এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে তারাও হোল্ডিং ট্যাক্সের আওতাভুক্ত হয়নি। ডিএনসিসি এলাকার গুলশান-বনানীর বড় বড় হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোর অধিকাংশের লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স নবায়ন, ট্যাক্স আদায়, অবৈধ বিলবোর্ড অপসারণে ডিএনসিসি গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে। মেয়র নিজে দাঁড়িয়ে পরিদর্শন করছেন এসব কার্যক্রম। এতে ডিএনসিসির রাজস্ব আদায় কার্যক্রম ত্বরান্বিত হচ্ছে। খুব শিগগির বকেয়া ট্যাক্স আদায়ে মাঠে নামবে ডিএসসিসি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর