রংপুর নগরীর মধ্য গণেশপুর এলাকায় চাচাতো দুই  বোনকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক রিফাত। গতকাল বিকালে রংপুর কোতোয়ালি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেনের কাছে রিফাত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদ। গত শুক্রবার দুপুরে নগরীর গণেশপুর এলাকা  থেকে সুমাইয়া আক্তার মীমের (১৬) মরদেহ ঘরের ভিতর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় এবং তার চাচাতো বোন জান্নাতুল মাওয়ার (১৪) মরদেহ গলায় ব্লেড দিয়ে কাটা মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন শনিবার সকালে নিহত জান্নাতুল মাওয়ার বাবা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই রাতেই নগরীর উত্তর বাবুখাঁ এলাকা থেকে এমদাদুল ইসলামের পুত্র মুলাটোল মদিনাতুল মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র মাহফুজার রহমান রিফাত নামে এক যুবককে  গ্রেফতার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল তাকে আদালতে নেওয়া হলে রিফাত হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। সূত্র জানায়, বড়বোন মীমের সঙ্গে রিফাতের প্রেম ঘটিত সম্পর্ক ছিল। ঘটনার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকায় ছোটবোন জান্নাতুলকে নিয়ে এক সঙ্গে ঘুমায় তারা। রাতের কোনো এক সময়ে রিফাত ঘরে প্রবেশ করে মীমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ছোট বোন জান্নাতুল তাদের দেখে ফেললে রিফাত প্রথমে জান্নাতুলকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে মীমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।