সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

অনিয়ম তদন্ত ও বদলিতে চরম অস্থিরতা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) সৌন্দর্যবর্ধন, নকশা বহির্ভূত মার্কেট সম্প্রসারণ-সংস্কার, তেল চুরির ঘটনা ও উদ্যান উন্নয়নে চুক্তি ভঙ্গের অনিয়মের তদন্ত চলছে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় সাত বিভাগে চলছে বদলি। ফলে অনিয়ম তদন্ত ও বদলি নিয়ে চলছে অস্থিরতা। অনিয়ম তদন্তে গঠিত হয়েছে অন্তত চারটি কমিটি। এ নিয়ে নগর ভবনে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সঙ্গে সমালোচনার ইস্যু হয়েছে নগরজুড়ে। গত ৬ আগস্ট চসিকের নতুন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর পর থেকেই নানা কাজের অনিয়ম তদন্ত এবং অভ্যন্তরীণ বদলি শুরু হয়। তবে নতুন প্রশাসক সঠিক তদন্ত এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর বলে জানান। চসিকের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘সৌন্দর্যবর্ধন, মার্কেটে দোকান বরাদ্দ, তেল চুরি, বিপ্লব উদ্যানে নিয়ম লঙ্ঘনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ের অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নে কাজ চলছে। সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘চসিকের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার স্বার্থে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি করা হচ্ছে। এটি রুটিন ওয়ার্কের মতো। আমরা চাই এ সেবাসংস্থার কাজে গতি আসুক।’চসিক সূত্রে জানা যায়, নগরের ৩২টি ফুটপাত-জংশনে সৌন্দর্যবর্ধন করে  চসিক। কিন্তু এখানে ফুটপাত দখল করে দোকান ও চসিকের স্বার্থ হানি হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে চসিকের আইন কর্মকর্তাকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। পরে আইন কর্মকর্তার প্রতিবেদনে ফুটপাতের দোকান ও চুক্তি বহির্ভূত স্থাপনা ভেঙে ফেলতে সুপারিশ করেন। অন্যদিকে, নগরের শপিং কমপ্লেক্সে নকশাবহির্ভূত দোকান নির্মাণ করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে চসিক বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী-স্থপতির সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত প্রকাশের আগ পর্যন্ত দোকান নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দেন প্রশাসক। তাছাড়া, নগরের বিপ্লব উদ্যানে চুক্তি ভঙ্গ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্বিতল ভবন নির্মাণ এবং চলাচলের জায়গায় দোকান নির্মাণ করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তদন্ত চলাকালীন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়।

এদিকে, চসিকের জ্বালানি তেল চুরির অভিযোগ ওঠলে গত ২৪ আগস্ট জ্বালানি তেল সংগ্রহ বিতরণ যাচাই-বাছাইয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলামকে আহ্বায়ক তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর জমা দেওয়া প্রতিবেদনে ৩৩টি পর্যবেক্ষণ এবং জ্বালানি সংগ্রহ ও বিতরণ ব্যবস্থাপনায় ৩১টি সুপারিশ করে। পর্যবেক্ষণে চসিকের নিজস্ব পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি বিতরণে অব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে ‘যান ও  যন্ত্রপাতির আধুনিককরণের অভাব এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে সংস্থার কাক্সিক্ষত চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না’ বলে মতামত দেয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর