টিউমারের অস্ত্রোপচারের সময় রাজশাহীর একজন চিকিৎসক এক বছর বয়সী এক শিশুর কিডনি কেটে ফেলেছেন। শিশুটির বাবা উজ্জ্বল (৩০) রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় লিখিতভাবে এই অভিযোগ দিয়েছেন। গতকাল দুপুরে তিনি থানায় গিয়ে এই অভিযোগ করেন। উজ্জ্বলের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বড়শিমলা গ্রামে। তার বাবার নাম নরেস। আর অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। গত ১৩ এপ্রিল নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় বেসরকারি রয়্যাল হাসপাতালে তিনি উজ্জ্বলের মেয়ে অণুর পেটে অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের সময় কিডনি ফেলে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ডা. সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, টিউমার ছিল কিডনিতে।

 সেটা ক্যান্সার। সে কারণেই ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর অস্ত্রোপচারের সময় শিশুটির অভিভাবক যারা ছিলেন তাদের জানিয়ে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তবে ওই সময় শিশুর বাবা উজ্জ্বল হাসপাতালে ছিলেন না।

উজ্জ্বলের অভিযোগে বলা হয়েছে, জন্মের পর থেকেই অণু পেটের সমস্যায় ভুগছিল। তার পেট ছিল অস্বাভাবিক বড়। প্রায় নয় মাস আগে উজ্জ্বল তার মেয়েকে রাজশাহীর শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এ বি সিদ্দিকীর কাছে নিয়ে যান। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান যে, অণুর পেটে টিউমার আছে। তাই ডা. এ বি সিদ্দিকী শিশু অণুকে রয়্যাল হাসপাতালে ডা. সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের কাছে নিয়ে যেতে বলেন। তার কথামতো উজ্জ্বল তার মেয়েকে ডা. সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের কাছে নিয়ে যান।

নগরীর রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, ‘এ ধরনের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। থানার ওসি স্যার সেটি প্রাথমিক তদন্ত করতে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। অভিযোগকারীকে রোগীর সমস্ত রিপোর্ট আনতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’