বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

দুর্ভোগে মানুষ, আছে আতঙ্কও

চট্টগ্রামে হালকা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ডুবেছে শহর, সাগরও উত্তাল

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

দুর্ভোগে মানুষ, আছে আতঙ্কও

চট্টগ্রামে বেশ কয়েক দিন ধরেই থেমে থেমে মাঝারি-হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে সাগরও উত্তাল। নগরীর নিম্নাঞ্চলগুলোতেও বৃষ্টির পাশাপাশি জোয়ারের পানিতে আতঙ্কিত রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। নগরীর খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, আসাদগঞ্জ, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, হালিশহর, মুরাদপুর, চকবাজারসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকা নিম্নাঞ্চল। পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধস আতঙ্কও রয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনের মধ্যে। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ, কোচিং বন্ধ থাকলেও অফিসগামী গণপরিবহন যাত্রী আর নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই বৃষ্টিতে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস। জানা গেছে, ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ, শুঁটকির বড় মোকাম আসাদগঞ্জ থেকে শুরু করে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, আশপাশের সরকারি কলোনি, আবাসিক এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে জলাবদ্ধতার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৬টায় যা ছিল ১৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার।

মা ও শিশু হাসপাতালের আজীবন সদস্য ফোরামের সদস্য সচিব লায়ন্স মাহমুদুর রহমান শাওন বলেন, সামান্য বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানি উঠলেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মা ও শিশু হাসপাতালটির নিচতলা ডুবে যায় প্রায় সময়। বৃষ্টি এবং জোয়ার হলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগীদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই হাসপাতালটি সাধারণ মানুষের সেবা দিয়ে এলেও এখনো পর্যন্ত এই পানির সমস্যাসহ নানা সমস্যা দূর করা যাচ্ছে না। ফলে রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে নিয়মতিই। তাছাড়া বর্তমানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা থাকলেও একটি চক্রের কারণে এসব সুরাহা করতে কঠিন হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খাতুনগঞ্জের জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যবসায়ী নেতা বলেন, কর্ণফুলী ভরাটের কারণে পানি ধারণক্ষমতা কমে গেছে। জোয়ার এলে কিংবা কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া হলে নগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। অমাবস্যা, পূর্ণিমায় ভারি বৃষ্টি ও জোয়ার একসঙ্গে হলে হাঁটুপানি হয় সড়কের ওপর। খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন অলি-গলির মধ্যে পানি উঠে গেছে। প্রায় দোকানপাটই পানি নিচে দেখা যাচ্ছে। এসব নিয়ে ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছেন বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর