বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ঝুলে আছে ২০ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স

রাজশাহী বিআরটিএ-তে পরীক্ষার অপেক্ষায় ৮৪০০ আবেদনকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী বিআরটিএতে লাইসেন্সের জন্য গত বছর আবেদন করেছিলেন নওগাঁর রায়হানুল ইসলাম শান্ত। লাইসেন্স পেতে লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণও হয়েছেন। কিন্তু লাইসেন্স পাননি। তাকে দেওয়া হয়েছে বিআরটিএ থেকে একটি অস্থায়ী অনুমোদনপত্র। এর মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এখন সেটিকেও আবার নতুন করে হালনাগাদ করতে যেতে হচ্ছে তাকে। রায়হান বলেন, ‘অস্থায়ী অনুমোদনপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আবার বিআরটিএ গেয়েছিলাম। লাইসেন্সের অবস্থা জানতে চাইলে কর্মকর্তারা বললেন, এখনো প্রস্তুত হয়নি। অনুমোদনপত্রের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে।’ শুধু শান্ত নন, স্মার্টকার্ড ছাপানো বন্ধ থাকা এবং করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজশাহী বিআরটিএ-তে ২০ হাজারেরও বেশি গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স আটকে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। লাইসেন্সের পরিবর্তে বিআরটিএ থেকে দেওয়া হচ্ছে অস্থায়ী অনুমতিপত্র। এই অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হলে আবার বাড়ানো হচ্ছে মেয়াদ, কিন্তু মিলছে না ড্রাইভিং লাইসেন্স। অনেকেরই বারবার অনুমতিপত্রের মেয়াদ বাড়াতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে দূর-দূরান্তের গ্রাহকরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে এটি সারা দেশের সমস্যা। এটি সমাধান হতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এগুলো সমাধান হয়ে যাবে। রাজশাহী বিআরটিএ’র তথ্য মতে, রাজশাহীতে বর্তমানে ২০ হাজারেরও বেশি গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স আটকে আছে। এ ছাড়া করোনার কারণে বন্ধ হয়েছে ৪২টি পরীক্ষা। এসব পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি ৮ হাজার ৪০০ জন।

 দীর্ঘদিনে জট লেগে থাকায় এ সমস্যার সহসাই সমাধান হচ্ছে না। তবে স্মার্টকার্ড প্রিন্ট করার জন্য নতুন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে চুক্তি হয়েছে।

বিআরটিএ রাজশাহী সার্কেলের সহকারী পরিচালক এস এম কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু আমাদের এখানেই এই অবস্থা নয়। এখানকার মতো সারা দেশেরই একই অবস্থা। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি না থাকায় এই সমস্যা হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর