বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ডিআইজি প্রিজন্সের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

আদালত প্রতিবেদক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদফতরের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদের সম্পত্তি ক্রোক এবং দুটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের জানান, বরখাস্ত এ কারা কর্মকর্তার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও দুটো ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন জানালে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। গতকাল অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য বজলুর রশীদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবী অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করে ২২ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করেন। এর আগে বজলুর রশীদের পক্ষে জামিন চাওয়া হলে তা নাকচ করে দেন বিচারক। মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক নাসির উদ্দিন ২৬ আগস্ট আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়, বজলুর রশীদ ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট থেকে স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। ইতোমধ্যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট কেনা বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয়-সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়।

গত বছর ২০ অক্টোবর দুদকের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে উপার্জিত টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে স্ত্রীকে পাঠানোর অভিযোগের অনুসন্ধানে নামে দুদক। এর অংশ হিসেবে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জিজ্ঞাসাবাদে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট থেকে ৩ কোটি ৯ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট কেনার তথ্য পায় দুদক। বজলুর রশীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করে এবং তাকে গ্রেফতার করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর