যাত্রীদের সঙ্গে বিমানবন্দরের কর্মীদের ভালো আচরণ ও ব্যবহার করতে হবে। এ জন্য বিমানবন্দরে কর্মরত সব সংস্থার কর্মীদের ব্যবহারের পরিবর্তন আনতে হবে। গতকাল দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এসব কথা বলেন। বিমানবন্দরে যাত্রীদের অভিযোগ ও পরামর্শ শুনতে এ গণশুনানির আয়োজন করা হয়। গণশুনানি শুরুর আগে ১০-১২ জন যাত্রীকে গণশুনানিতে অংশ নিতে নিয়ে আসা হলেও তাদের ফ্লাইটের সময় হওয়ায় পরে তারা চলে যান। সেখানে মাত্র দুজন যাত্রী বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া উপস্থিত সাংবাদিক ও বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা বক্তব্য দেন।
বিমানবন্দরের কর্মীদের আচরণ ও ব্যবহার নিয়ে সাংবাদিকদের অভিযোগের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান বলেন, ‘আচার-ব্যবহারের পরিবর্তন আনতে হবে। এটা একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এখানে যারা কাজ করবেন তাদের প্রত্যেকের আচার-ব্যবহারও আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। আমরা প্রতিটি সংস্থার লোকজনকে বলি- যাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে।’ বিমানবন্দরের পুলিশ, ইমিগ্রেশন, কাস্টমসসহ সব সংস্থার প্রতিনিধিদের যাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার অনুরোধ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের এ বিষয়ে শিক্ষিত করতে হবে। যেন হাসি মুখে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন সবাই।’
সৌদি আরবে ফ্লাইট প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এত দিন সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের আকাশপথে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই ফ্লাইট শুরু করেছে। আমরা চাচ্ছিলাম সৌদি আরব থেকেও ফ্লাইট শুরু হোক।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের ফিরে যেতে সাউদিয়া যে কয়টা ফ্লাইটের অনুমোদন চাইবে, আমরা দেব।’ তিনি বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইনস আমাদের কাছে অনুমোদন চায়, আমরা অনুমতি দিয়েছি। যদিও আমাদের বাংলাদেশি এয়ারলাইনসও সেদেশে যেতে পারবে- এই শর্তে আমরা অনুমোদন দিয়েছি।আমরা জানতে পেরেছি, যাদের আকামার মেয়াদ আছে তারা যেতে পারবেন। শুধু ভিজিট ভিসা ও ওমরা ভিসায় যাওয়া যাবে না। আমরা জানতে পারলাম, বিমানকে চার্টার্ড ফ্লাইটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যিক ফ্লাইটের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এরপর অনেকেই চাচ্ছিলেন সাউদিয়ার অনুমোদন বাতিল করা হোক, কিন্তু আমরা বাতিল করিনি। আমাদের প্রবাসী ভাইদের যাওয়া নিশ্চিত করতে সাউদিয়া ও বিমান যেন চলাচল করতে পারে, সে বিষয়ে কথা বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বিমানও যেন যেতে পারে, সেই চেষ্টা করছি। বিমান থেকে জানতে পেরেছি, তারা এখনো অপারেশনের অনুমতি পায়নি। আমরা সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি। বাংলাদেশিদের ফিরে যেতে সাউদিয়া যে কয়টা ফ্লাইটের অনুমোদন চাইবে, আমরা দেব।’
গণশুনানিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর মো. খালিদ হোসেন, সদস্য (প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমান, সদস্য (নিরাপত্তা) মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী, সদস্য (এটিএম) এয়ার কমডোর আমিনুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেক, বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের কমান্ডিং অফিসার মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম খান এবং চেয়ারম্যান দিলারা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।