শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন

কালের কণ্ঠ-কেয়ার ভার্চুয়াল সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক

কালের কণ্ঠ-কেয়ার বাংলাদেশ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে অংশীদারিত্ব সৃষ্টি ছাড়াও আরও সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন। গতকাল কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক আমানুর রহমানের সঞ্চালনায় ‘মহামারী-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও প্রাণিসম্পদ খাত পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় বক্তারা উল্লেখ করেন, করোনা মহামারীর মধ্যে অন্যান্য খাতের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রাণিসম্পদ, ডেইরি ও মৎস্য খাত। সরবরাহ ও বিপণন ব্যবস্থায়ও ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। তবে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সে ক্ষতি অনেকটা কমানো সম্ভব হয়েছে। প্রাণিসম্পদ, ডেইরি ও মৎস্য খাত উন্নয়নে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। ফলে বাংলাদেশ এখন মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে। এর বাইরে ‘সমষ্টি’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় পশুপালন, মৎস্য ও ডেইরি খাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় অর্থ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব রাখছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সোহেল ইবনে আলী, কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. মো. গোলাম রাব্বানী  প্রমুখ।

আলোচনা সভায় জানানো হয়, পশুপালন, কৃষি এবং সামাজিক সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করে দেশের দরিদ্র, অনগ্রসর এবং সংখ্যালঘু পরিবারের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘সমষ্টি’ নামে একটি প্রকল্প রয়েছে। এর আওতায় দেশের চারটি অঞ্চলের মোট ১৪ জেলার ২৮ উপজেলার ১ লাখ ৮০ হাজার পরিবারের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় গরু মোটাতাজাকরণ, ডেইরি ও হাঁস পালন, চিংড়ি, শাকসবজি এবং ফল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে প্রান্তিক মানুষকে। এ ছাড়া এ খাতে দক্ষ জনবল তৈরি ও সামাজিক উন্নতি নিশ্চিতকরণেও কাজ চলমান রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর