শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আতঙ্ক নয়, প্রতিরোধই করোনায় ভূমিকা রাখতে পারে : তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক

আতঙ্ক নয়, সচেতনতাই কভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন, ২০২০ উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আয়োজিত কেন্দ্রীয় অবহিতকরণ, পরিকল্পনা ও সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভায় ডিএসসিসি মেয়র এ মন্তব্য করেন। ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর পক্ষকালব্যাপী এ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। ২ হাজার ৯৭৪ জন স্বেচ্ছাসেবী ও ১১২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে করপোরেশন এলাকায় ১ হাজার ৪২৭টি কেন্দ্রে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোয় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

ক্যাম্পেইনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫২ হাজার ১৭৬ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৪ হাজার ৪৬০ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডিএসসিসি মেয়র তাপস আরও বলেন, ‘আমাদের শিশুদের মধ্যে এখনো অনেকেরই শারীরিক প্রয়োজনীয়তা অনুসারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণের হার সন্তোষজনক নয়। এটা শুধু তাদের খাবারের ঘাটতির জন্য নয়, এর মূল কারণ খাবারে সুষম পুষ্টি গ্রহণের ব্যাপারে আমাদের প্রয়োজনীয় সচেতনতার অভাব। সেজন্যই জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের গুরুত্ব অনেক বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কভিড-১৯-এর এই সময়ে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের সফল বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং ক্যাম্পেইনকালে পরিচালিত কেন্দ্রসমূহে আগত বাচ্চাদের সরাসরি স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্যাপসুল খাওয়ানোর বদলে শিশুর সঙ্গে উপস্থিত তার মা কিংবা অভিভাবককে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝিয়ে এ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারলে অধিকতর সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেজন্য অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে শিশুদের ও তার পিতা-মাতার প্রতি অনেক বেশি সংবেদনশীল ও আন্তরিক আচরণ করতে হবে।’

মেয়র তাপস শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ভিটামিন এ দিয়ে দেওয়া মানেই মায়েদের দুধ খাওয়ানো লাগবে না- এ কথা যেন কেউ মনে না করেন। বাচ্চাদের ক্যাপসুল দেওয়ার সময় এ বার্তাটাও দেবেন যে, মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। কারণ শিশুদের রোগপ্রতিরোধের ওষুধ হিসেবে কাজ করে মায়ের বুকের দুধ। সেটা যেন অন্তত দুই বছর পর্যন্ত খাওয়ানো হয়, সেজন্য মায়েদেরও উৎসাহিত করতে হবে। ছোট মাছের মাথা যেন বাচ্চাদের খাওয়ানো হয়, সে বিষয়েও অভিভাবকদের সচেতন করার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে উপস্থিত সবার উদ্দেশে মেয়র বলেন, অনেকেই ছোট মাছ, বিশেষ করে মলা-ঢেলার মাথা কেটে ফেলে রান্না করেন। ছোট মাছের মাথায় যে ভিটামিন থাকে, সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে।

ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ এ সময় ক্যাম্পেইনের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন। করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর