বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পরিবার থেকে সমতার শিক্ষা শুরু হতে হবে

কালের কণ্ঠ পিএসটিসির ওয়েবিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে বাল্যবিয়ে। কিশোর বয়সে মেয়েদের বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার কারণও এটা। অভিভাবকদের চোখে ছেলেরা এখনো বুড়ো বয়সের অবলম্বন। আর মেয়েদের বিবেচনা করা হয় পরিবারের বোঝা হিসেবে। এই ধ্যান-ধারণায় কিছুটা পরিবর্তন হলেও সমাজে সমতা এখনো নিশ্চিত হয়নি। এই মানসিকতার পরিবর্তনের জন্য শুধু নারীদের শিক্ষা, কারিগরি জ্ঞান এবং প্রজ্ঞাবান হিসেবে গড়ে তোলা জরুরি। পরিবারের পুরুষদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। পরিবার থেকে সমতা বিধানের শিক্ষা শুরু হতে হবে। গতকাল দৈনিক কালের কণ্ঠ ও পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি) আয়োজিত ওয়েবিনারে এসব বিষয় উঠে এসেছে বিশেষজ্ঞদের আলোচনায়। ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যাশিশু দিবস এবং ১১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে ‘সমতা বিধানের লক্ষ্যে চলো আওয়াজ তুলি’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। এতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা, সরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। আয়োজনে সহযোগিতা দিয়েছে হ্যালো আই অ্যাম (হিয়া) প্রোগ্রাম। ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন, পিএসটিসির নির্বাহী পরিচালক ড. নূর মোহাম্মদ, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক আখতারুজ্জামান খান কবির, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক পারভীন আকতার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাজহারুল হক মাসুদ, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সিনিয়র    পলিসি অ্যাডভাইজার মাশফিকা জামান সাটিয়ার, ইউনিসেফ বাংলাদেশের আরলি চাইল্ডহুম স্পেশালিস্ট মোহাম্মদ মহসিন, আরএইচ স্টেপের নির্বাহী পরিচালক কাজী সুরাইয়া সুলতানা, হ্যালো আই অ্যামের (হিয়া) টিমলিডার ড. সুস্মিতা আহমেদ প্রমুখ। ইমদাদুল হক মিলন বলেন, মেয়ে ও ছেলে শিশুর মধ্যে যে বৈষম্য এগুলো বহু বহু কালের। দেশ ও সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এই ক্ষেত্রটিতে কী প্রকৃতপক্ষে এগোতে পেরেছি? আমরা নারী-পুরুষের মধ্যে কোনো বৈষম্য আর দেখতে চাই না। ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা দেখছি প্রাইমারি থেকে কন্যা শিশুদের ঝরে পড়ার হার বেশি। ২০১৭ সালের জরিপে দেখা যায়, প্রাইমারি থেকে ১৭ শতাংশ এবং মাধ্যমিক থেকে ৪৬ শতাংশ কন্যা শিশু ঝরে পড়ছে। কন্যা শিশুরা এমনিতেই পিছিয়ে আছে। করোনা আরও পিছিয়ে দিয়েছে। কয়েকটি গবেষণায় শিশু নির্যাতন, শিশু বিয়ের মতো বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

মেয়ে শিশুদের সহিংসতামুক্ত পরিবেশ দিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর