বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

সাভারে ফের নারী শ্রমিক ও শিশু ধর্ষণের শিকার

সাভার প্রতিনিধি

সাভারে এক নারী শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া পৃথক ঘটনায় একটি পাঁচ বছরের কন্যা শিশু ধর্ষণ ও পাঁচ বছরের এক শিশু ছেলেকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল বিকালে গণধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিক ছয়জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ বলছে, সাভারের মুক্তিরমোড় এলাকায় মুকুল মিয়ার বাড়িতে সিংগাইর এলাকার আখতার ফার্নিচারের নারী শ্রমিক (২৫) স্বামীকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই নারী শ্রমিকের ঘরের দরজা ভেঙে স্থানীয় রিকশা গ্যারেজের ছয়জন ব্যক্তি প্রবেশ করে মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে গণধর্ষণ করেন ওই নারীকে। এ সময় গণধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেন ধর্ষণকারীরা। গতকাল বিকালে ওই নারী গণধর্ষণের অভিযোগে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই নারীর বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বন্দিপুর গ্রামে।  অপরদিকে সাভারের আনন্দপুর এলাকার একটি বাড়িতে পাঁচ বছরের এক মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ করে মনোয়ারুল ইসলাম নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিক। এ সময় তিনি ওই বাড়ির আরেক প্রতিবেশী পাঁচ বছরের এক ছেলে শিশুকে বলাৎকার করেন।

 গত সোমবার আনন্দপুর এলাকার ভাড়া বাড়িতে এ ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করছিল স্থানীয় একটি চক্র। পরে গতকাল বিকালে ধর্ষণকারী ব্যক্তি মনোয়ারুল ইসলামকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয়রা। আটক ধর্ষণকারী রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার ঠাকুরবাড়ি গ্রামের নয়া মিয়ার ছেলে।

পুলিশ বলছে ধর্ষণের শিকার তিনজনকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) সাফায়েত বলেন, গণধর্ষণের শিকার ওই নারী ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আসামিদের আটকের প্রক্রিয়া চলছে।

এ ছাড়া আশুলিয়ায় কুরগাঁও এলাকার মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বিকালে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী এক বখাটে যুবক তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছেন শিশুর অভিভাবকরা। ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজর আলী। তিনি জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে। শিশুর পরিবার জানায়, শিশুটি  কুরগাঁও এলাকায় ওয়ালিয়ার বাড়ি থাকত। অভিভাবকরা জানান, আশুলিয়ার পাশেই খেলছিল শিশুটি। এ সময় প্রতিবেশী বখাটে তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিভাবককে বিষয়টি জানায়। রাতেই শিশুটিকে চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে পুলিশ বিকালে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতাল পাঠায়। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় পৃথক তিনটি ধর্ষণের মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর