শিরোনাম
শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

এটাই কি তাহলে চমক?

রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগ

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

এ বছরের ১ মার্চ সম্মেলন হয়েছে রাজশাহী মহানগরী আওয়ামী লীগের। গত ১৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রে জমা পড়েছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি; যা এখন দলীয় প্রধানের অনুমোদনের অপেক্ষায়। তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিদিনের হাতে এসেছে সেই কমিটি। দেখা যায়, এতে বাদ পড়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা। এটাই হয়তো একটা চমক। এ ছাড়া কোনো বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে না। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন জানান, কমিটিভুক্তদের তালিকা এখন দলীয় প্রধান ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে। তারা বিষয়টি দেখছেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে অনুমোদন করবেন। সম্মেলনে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন সভাপতি ও ডাবলু সরকার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর পরই মূলত আলোচনায় ছিল পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কারা থাকছেন। সভাপতি ও সম্পাদকের সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে অনেকেই মনে করেছিলেন ব্যাপক পরিবর্তন হবে কমিটিতে। কিন্তু জমা দেওয়া তালিকায় তেমন কিছু নেই। বিগত কমিটির মতো এ কমিটিতেও সহসভাপতি আছেন শাহীন আকতার রেণী, মীর ইকবাল, মোহাম্মদ আলী কামাল, মাহফুজুল আলম লোটন, নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, অধ্যাপক প্রণব পান্ডে। আগের কমিটিতে যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ছিলেন রেজাউল ইসলাম বাবুল, আর নতুন সুযোগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু ও অধ্যাপক প্রণব পান্ডে। যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, নাইমুল হুদা রানা। আসাদুজ্জামান আজাদ বিগত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন এ বি এম হাবিবুল্লাহ ডলার। সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, বদিউজ্জামান খায়ের, মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন।

 আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোসাব্বিরুল ইসলাম, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, দফতর সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম বুলবুল, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, প্রচার সম্পাদক দীলিপ ঘোষ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক রবিউল আলম রবি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক শ্যাম দত্ত, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সফিকুর রহমান রাজা, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক এ এস এম ওমর শরীফ রাজীব, শ্রম সম্পাদক আবদুস সোহেল, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক কামারুল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. ফ ম আ জাহিদ, উপ-দফতর সম্পাদক পঙ্কজ কুমার দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম।

সদস্য হিসেবে যাদের নাম আছে তারা হলেন- অ্যাডভোকেট মোজাফ্ফর হোসেন, নফিকুল ইসলাম সেল্টু, নিঘাত পারভীন, আরিফা বেগম, জহির উদ্দিন তেতু, শামসুজ্জামান আওয়াল, আজিজুল আলম বেন্টু, মুশফিকুর রহমান হাসনাত, নজরুল ইসলাম তোতা, হাবিবুর রহমান বাবু, এনামুল হক কলিন্স, মো. শাহাবুদ্দিন, আশরাফ হোসেন, অ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার মুক্তি, ডা. আবদুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, আখতারুল আলম, আবদুস সালাম, কল্পনা রায়, কানিজ ফাতেমা কেয়া, অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খাতুন, তোজাম্মেল হক বাবলু, মমতাজ উদ্দিন, মুজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, আলেমুল হাসান সজল, জয়নুল আবেদীন চাঁদ, ইউনুস আলী, খায়রুল ইসলাম শাহীন, মকলেসুর রহমান কচি, অ্যাডভোকেট রাশেদ-উন-নবী আহসান, মাসুদ আহম্মেদ, কে এম জুয়েল জামান ও আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি বিতর্কমুক্ত একটা কমিটি দিতে। আমার ভাইকেও কমিটিতে রাখা হয়নি। একটা বার্তা পরিষ্কার, দলের জন্য যারা কাজ করবেন, তারাই নেতৃত্বের সুযোগ পাবেন।’

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর