শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

আট বছর পর ফের ‘গরিবের সেবা’

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

আট বছর পর ফের ‘গরিবের সেবা’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পরিচালিত তিনটি মাতৃসদন হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি চার্জ নেওয়া হবে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। ওষুধসহ সিজারিয়ান ডেলিভারি খরচ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। পাঁচ টাকায় মিলবে পরিবার পরিকল্পনা উপকরণ। মাত্র ৪০-৫০ টাকায় মিলবে গর্ভকালীন সেবা, প্রসবকালীন সেবা, প্রসবপরবর্তী সেবা, শিশু স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যবিষয়ক সেবা, পুষ্টি সংক্রমণ রোগ নিয়ন্ত্রণ, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা। ৮০-১০০ টাকায় করা যাবে টাইফয়েড পরীক্ষা, ৪০-৮০ টাকায় ব্লাড সুগার নির্ণয়, ৬০-৮০ টাকায় জন্ডিস, ৩০-৪০ টাকায় প্রস্রাব এবং ৩০০-৫০০ টাকায় ইসিজিসহ স্বল্পমূল্যে মিলবে ৩৮ ধরনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এভাবে নামমাত্র মূল্যে চসিকের ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট’ (এপিএইচসিএস) কার্যক্রমের অধীনে গরিব-অসহায় রোগীরা পাবে নানা স্বাস্থ্যসেবা। আট বছর পর এ প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু হলো চসিকের গরিবের সেবা। চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে আরবান হেলথ কেয়ার প্রকল্পের আওতায় নগরীতে পাঁচটি মাতৃসদন ও ৪৩টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। পরে ২০০১ সালের জানুয়ারি থেকে নামমাত্র মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে চসিকের অধীনে ছিল ২টি মাতৃসদন ও ৩৬টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র। দুই মেয়াদে প্রকল্প শেষ হয় ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তৃতীয় মেয়াদে ওই প্রকল্প আর শুরু হয়নি। চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আরবান প্রকল্পের অধীনে গরিব-অসহায় রোগীর স্বাস্থ্যসেবা আবারও শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৫টি ওয়ার্ডে চসিকের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে ১৬ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা এবং  অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা স্বল্পমূল্যে গ্রহণ করতে পারবেন। একই সঙ্গে মোট সেবাগ্রহীতার ৩০ শতাংশ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। বিনামূল্যে পাওয়া যাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সেবা।’ তিনি বলেন, ‘বুধবার বিকালে এপিএইচসিএস’র প্রকল্পের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে চসিক ও প্রকল্প কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। গতকাল থেকে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে ৩১ মার্চ ২০২৩ সাল পর্যন্ত।’ চসিক সূত্রে জানা যায়, নগরে তিনটি প্যাকেজে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে দুটি প্যাকেজ চসিক এবং বাকি একটি প্যাকেজ এনজিওর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রতি প্যাকেজে পাঁচটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং একটি মাতৃসদন হাসপাতাল অন্তর্ভুক্ত। ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর