রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

সম্পদ নিয়ে বিরোধে ভাইকে হত্যা করলেন বোন

ভগ্নিপতিসহ পাঁচজন আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্পদ নিয়ে বিরোধের জেরে পুরান ঢাকার বংশালে ভাইকে হত্যা করলেন পালিত বোন ও তার পরিবার। নিহতের নাম সাঈদ (৪৮)। ৩০ সেপ্টেম্বর বংশালের আবুল হাসনাত সড়কে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল তাকে। গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বোন, ভগ্নিপতিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির জানান, পালিত বোন জমিজমা দাবি করেছিলেন। এ নিয়ে বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে বোন হাসিনা, বোনজামাই মামুন, তাদের ছেলে ও ছেলেদের বন্ধুরা মিলে সাঈদকে বেধড়ক মারধর করেন। সাঈদ নিহতের পর হাসিনা, মামুন, তাদের ছেলে আহাদ, আহাদের বন্ধু রনিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। গতকাল ওই মামলায় তাদের আদালতে পাঠানো হলে হাসিনা, মামুন, আহাদ ও রনি খুনের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

নিহতের বড় ভাই লতিফুর রহমান বলেন, ‘আবুল হাসনাত রোডে আমার বাবা আবদুর রহমানের নামে ১ কাঠার একটি প্লট রয়েছে। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে স্বাভাবিকভাবে সন্তানরা মালিক হন। হাসিনা বেগম টেকি নামে বাবার একজন পালিত কন্যা ছিলেন। বোন তার পরিবার নিয়ে ওই বাসায় থাকেন। ভাই সাঈদ অবিবাহিত। তিনিও একই বাসায় থাকতেন।

তিনি বাসায় মোবাইল মেরামতের কাজ করতেন। বাসায় বিদ্যুৎ বিল অনেক বাকি পড়ে যায়, কারও পক্ষেই টাকা পরিশোধ করার অবস্থা নেই। তাই সবাই মিলে জমি ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বোন মোটা অঙ্কের ঢাকা দাবি করেন। এসব নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি হচ্ছিল। ৩০ সেপ্টেম্বর বোন হাসিনা, তার জামাই মামুন, ছেলে ও তাদের কয়েকজন বন্ধু মিলে ভাই সাঈদকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বেধড়ক মারধর করে। স্ক্রু-ড্রাইভার শরীরে ঢুকিয়ে দেয়। তার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করেন। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর