মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ধর্ষকদের যে পরিচয়ই থাক শাস্তি হবে দৃষ্টান্তমূলক : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্ষকদের যে পরিচয়ই থাক শাস্তি হবে দৃষ্টান্তমূলক : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণকারীরা যে পরিচয়ই ব্যবহার করার চেষ্টা করুক না কেন, তাদের কঠোর হস্তে দমন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। গতকাল তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনভিত্তিক শিশুতোষ গ্রন্থ ‘আমি হবো আগামী দিনের শেখ হাসিনা’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের এসব এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যসচিব কামরুন নাহার।

বইটির লেখক তানিয়া সুলতানা বইয়ের পরিচিতি তুলে ধরে বক্তৃতা করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, যারা এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তারা হচ্ছে দুষ্কৃতকারী। তাদের অন্য কোনো পরিচয় থাকতে পারে না। সরকার এ ধরনের দুষ্কৃতকারীদের কঠোর হস্তে দমন করতে বদ্ধপরিকর। এর আগে এ ধরনের যেসব ঘটনা ঘটেছে তার অনেকটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে, অনেক শাস্তি কার্যকরও করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা যে আগে ঘটেনি তা নয়, আগেও ঘটত। কিন্তু আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এমন ব্যাপকতা ছিল না। তাই অনেক ঘটনাই আড়ালে থেকে যেত। এখন বেশির ভাগ ঘটনা আড়ালে থাকে না। প্রায় সব ঘটনাই প্রকাশ্যে আসে। এ বিষয়টি ভালো। যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়গুলো তুলে ধরছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এতে করে সরকারের পক্ষ থেকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হচ্ছে। এ ধরনের দুষ্কৃতকারীরা যে পরিচয়ই ব্যবহার করার চেষ্টা করুক না কেন, তাদের কঠোর হস্তে দমন করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। এগুলো নিয়ে রাজনীতি করার কোনো অবকাশ নেই।

হাছান মাহমুদ বলেন, এ ধরনের ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দিতে মাঝেমধ্যে বিএনপির পক্ষে অপচেষ্টা চালানো হয়। বিএনপি তো দলীয়ভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশে নারী ধর্ষণ করিয়েছে। ২০০১ সালের পর আট বছরের শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও ধর্ষণ করা হয়েছে এবং পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে সেখানকার নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো অনেকে বয়ে বেড়াচ্ছে। যারা এসব অপকর্ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কোনো শাস্তির ব্যবস্থা তারা করেনি। সুতরাং যারা এ অপকর্মের সঙ্গে দলীয়ভাবে জড়িত ছিল, তাদের এ নিয়ে বিএনপির কথা বলার নৈতিক অধিকার কতটুকু আছে সেটি হচ্ছে বড় প্রশ্ন।

জবাবদিহির জায়গা কমে গেছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষের জবাবদিহির জায়গা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। আগে এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ পেত না। এখন সব ঘটনাই প্রকাশ্যে আসে। এতে করে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সহজ হচ্ছে। দেশে নারী ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ থেকে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। নারী ক্ষমতায়নে পৃথিবীতে বাংলাদেশ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। সুতরাং অতীতের যে কোনো সময়ের থেকে জবাবদিহি বেড়েছে।

অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহানা জেসমিন, লেখক জাহাঙ্গীর আলম শোভন, সংস্কৃতিকর্মী দিপু সিদ্দিকী, নাদিবা পারভীন লাকী, নাজনীন সুলতানা নাজু, আজিমুন রুমা, নাহিদ নাজ, জামান নূর ও শিশু শিল্পী হামীম, ওমর, অনিরুদ্ধ, সাদিয়া, সারামণি, রাইফ, জুঁই, চামেলি, রামিয়া, রামিম, আবরার, সাবীত, হাসিব প্রমুখ বই মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর