বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রণোদনা পাচ্ছেন না খুলনার উদ্যোক্তারা

ব্যাংকের শর্ত, পুঁজির অভাবে বন্ধ হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

ব্যাংকের নানা শর্তের বেড়াজালে প্রণোদনার ঋণ সুবিধা পাচ্ছে না খুলনায় ক্ষুদ্র মাঝারী উদ্যোক্তারা। জামানত ছাড়া উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে আগ্রহী নয় ব্যাংকগুলো। এছাড়া ব্যাংকের হেড অফিসের অনুমোদন, সেবা খাতে ঋণ প্রদানে আপত্তি, পূর্বের ব্যাংক ঋণ থাকলে তার ৬০-৭০ ভাগ পরিশোধে বাধ্যবাধকতার শর্ত দেওয়া হচ্ছে ব্যাংক থেকে। এতে হতাশা দেখা দিয়েছে উদ্যোক্তাদের মধ্যে। জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে খুলনার অধিকাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে আর্থিক সংকটে। প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও সমন্বয়হীনতায় তা পাচ্ছে না উদ্যোক্তারা। ফলে পুঁজির অভাবে বন্ধ হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি কর্মসংস্থান হারাচ্ছে অসংখ্য শ্রমিক। খুলনার নিউমার্কেট এলাকার অপ্সরা বিউটি সেলুনের মালিক চিশতী মুসতারী বানু জানান, প্রণোদনা ঋণ নিতে গেলে ব্যাংক থেকে জানানো হয়েছে সেবা খাতে এ ঋণ প্রদান করা যাবে না। এছাড়া তার পূর্বের ঋণের ৭০-৭৫ ভাগ ফেরত দিয়ে প্রণোদনা ঋণের আবেদন করতে বলা হয়। করোনা সংক্রমণের পর লকডাউনে তিন মাস বন্ধ ছিল প্রতিষ্ঠান। পরে বিউটি পার্লার খুললেও আগের মতো কাষ্টমার নেই। বাড়ি ভাড়া, হোল্ডিং ট্যাক্স, কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খেতে হয়। এখন ব্যাংক তাদের পাওনা প্রায় ২ লাখ টাকা ফেরত দিতে বলছে। বাংলাদেশ উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ খুলনার বিভাগীয় প্রধান শামীমা সুলতানা শিলু বলেন, খুলনায় ব্যাংকগুলো থেকে উদ্যোক্তারা প্রণোদনার ঋণ সম্পর্কে কোনো স্বচ্ছ ধারণা পাচ্ছে না। ব্যাংকগুলো এমন সব শর্ত জুড়ে দিচ্ছে তা মিটিয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে বিসিক খুলনার উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা নাসরীন বলেন, ব্যাংকগুলোর মধ্যে ঋণ প্রদানে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। অনেক বেসরকারি ব্যাংকের হেড অফিস ঢাকায়, সেখান থেকে তাদের ঋণ অনুমোদন হয়। এ ক্ষেত্রে খুলনায় তার লক্ষ্যমাত্রার কত শতাংশ ঋণ দিয়েছে তা বের করা মুশকিল।  অগ্রণী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওবায়দুল হক বলেন, খুলনায় প্রায় ১৯২০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার ৪ শতাংশ ও সরকার এ খাতে ভর্তুকি দেবে ৫ শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর