বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ওমরাহ পালনে লেনদেন না করার অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক চিঠি না পাওয়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার আগে ওমরাহ পালন নিয়ে কারও সঙ্গে লেনদেন বা যোগাযোগ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এজেন্সি বা ব্যক্তিকে ওমরাহ নিয়ে প্রচারণা থেকে বিরত থাকারও অনুরোধ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনার কারণে রাজকীয় সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে পবিত্র ওমরাহ পালনের

কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি এখনো পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও কিছু ব্যক্তি ও এজেন্সি ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্দিষ্ট দিন উল্লেখ করে পবিত্র ওমরাহ পালনের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এতে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলিম জনসাধারণের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে এ ধরনের কর্মকা-ের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাজকীয় সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে পবিত্র ওমরাহ পালনের অনুমতি পাওয়া মাত্রই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। তার আগে কোনো এজেন্সি বা ব্যক্তিকে এ ধরনের প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

জামানতের অর্ধেক ফেরত পাচ্ছে হজ এজেন্সি : মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে হজ ও ওমরাহ লাইসেন্সের জামানতের অর্ধেক টাকা আগামী এক বছরের জন্য কর্জে হাসানা (ফেরতযোগ্য) হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গতকাল মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রণোদনা প্রদান সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এজেন্সিগুলোকে হজ ও ওমরাহ লাইসেন্সের জামানতের ৫০ শতাংশ টাকা ফেরতযোগ্য হিসেবে প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগ্রহী হজ ও ওমরাহ এজেন্সিকে এ-সংক্রান্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ে রক্ষিত ও লিয়েনকৃত জামানতের ২০ লাখ টাকার ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ১০ লাখ টাকা ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই ফেরত দিয়ে সমন্বয় করতে হবে। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে আগ্রহী হজ ও ওমরাহ এজেন্সিকে আবেদন করতে হবে। জামানতের ৫০ শতাংশ (ফেরতযোগ্য) অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর) যুগ্মসচিব (হজ) বরাবর ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির লাইসেন্স সরাসরি বাতিল করা হবে। যেসব হজ ও ওমরাহ এজেন্সি এ পর্যন্ত জামানতের অবশিষ্ট ১০ লাখ টাকা দেয়নি বা যেসব এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল, স্থগিত বা জামানত বাজেয়াপ্তসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তি বিদ্যমান রয়েছে বা ধার্যকৃত জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেনি বা আদালতে রিট মামলা চলমান, সেসব এজেন্সির আবেদন বিবেচনা করা হবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর