বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

দুর্যোগ মোকাবিলায় দরকার আন্তসংস্থার সমন্বয়

কালের কণ্ঠ-ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের গোলটেবিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় দুর্যোগঝুঁকি কমাতে অন্তত ৪২টি সংস্থা কাজ করে। অথচ এদের মধ্যে সমন্বয়ের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। এ অবস্থায় মেগাসিটিতে দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতির বিকল্প নেই। গতকাল কালের কণ্ঠ-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘নগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা : অগ্রগতি ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকটিতে সহযোগিতা করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি)। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘একটি শহরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা যে কোনো দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুর্যোগ ঘটে গেলে একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে কালক্ষেপণ করার একটা চেষ্টা থাকে আমাদের মধ্যে।’ ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক। এ জায়গায় চ্যালেঞ্জগুলোকে ব্যবস্থাপনা করা অনেক কঠিন। এ চ্যালেঞ্জ একা সমাধান করা সম্ভব নয়।’ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘গ্রামীণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমরা অনেক দক্ষ। কিন্তু শহরে বেশি ভয় অগ্নিকান্ড ও ভূমিকম্পের। বর্তমানে ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নগরে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। এটা স্বীকার করেই আমরা ভালো ব্যবস্থাপনার উদ্দেশে কাজ করে যাচ্ছি।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, শুধু বরাদ্দ পেলেই হবে না তা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজে লাগাতে হবে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন বলেন, ‘যখন ভূমিকম্প হয় তখন আমরা  অনেক সতর্ক হই। কিন্তু কিছুদিন পরই ভুলতে বসি।’

ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘ঢাকা সিটিতে দিন দিন লোক বাড়ছে, আয়তনও বাড়ছে। প্রতি বছরই বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। তবে আমাদের প্রস্তুতি আরও জোরদার করা উচিত।’

গোলটেবিল বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক আতিকুল হক, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন, বাহিনীর সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আলী আহমদ খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীমা প্রধান, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ঢাকা ও কান্ট্রি পোর্টফোলিও ম্যানেজার আফরোজ মহল, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ হেলালী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর