বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

স্থিতিশীল বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের মূল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থিতিশীল বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের মূল্য

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের বাজারেও এলপি গ্যাসের দর বেড়েছে। দেশের বেশির ভাগ অপারেটর চলতি অক্টোবর মাসে ১২ কেজি এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮১০ টাকায় স্থির করেছে। কিন্তু বাজারের নেতৃত্বস্থানীয় কোম্পানি হিসেবে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড তাদের পণ্যের দর আগের মতোই রেখেছে। এই মুহূর্তে দাম বাড়ানোয় তারা মোটেও আগ্রহী নয়। কারণ দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের অনেক বড় দায়িত্ব রয়েছে। গ্রামীণ ও আধা শহরাঞ্চলের বাসিন্দারাই এলপি গ্যাসের প্রধান গ্রাহক। মহামারী করোনাভাইরাস ও বন্যার কারণে দেশের মানুষের দুর্দশা এখন অবর্ণনীয়। আয় কমে যাওয়ার ফলে দেশের অধিকাংশ মানুষই আর্থিক সংকটে রয়েছেন। যেখানে অধিকাংশ ব্র্যান্ডই দাম বাড়িয়েছে, করোনা মহামারী ও বন্যাদুর্গতদের কথা ভেবে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড তাদের সর্বনিম্ন মূল্যেই পণ্য বিপণন করছে। বসুন্ধরা এলপি গ্যাস সবসময় নীতিগত ব্যবসার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। পাশাপাশি পণ্যের সর্বোচ্চ মান ধরে রাখতে তারা আগ্রহী। শুধু মার্কেট শেয়ারে সেরা অবস্থান ধরে রাখাই নয়, তারা দেশের মানুষের কল্যাণে প্রতিনিয়ত কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে। এলপিজির ৯৮ ভাগই আমদানি করা : এলপিজি-লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস হচ্ছে প্রপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ। এলপিজির ৯৮ ভাগই আমদানি করা হয়। দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাকিটা উৎপাদন করে ইস্টার্ন রিফাইনারি। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার ফুরিয়ে আসছে। তাই দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্বালানি ও খনিজ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে বিকল্প জ্বালানির উৎস সন্ধানের উপদেশ দিয়েছেন। সহজলভ্যতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে স্বল্পমূল্যের কারণে এক্ষেত্রে প্রথম বিকল্প হচ্ছে এলপিজি। দেশে রান্নার কাজে প্রধান জ্বালানি হয়ে উঠেছে এলপিজি। বর্তমান সময়ে দেশে এলপিজি ব্যবহারের অবস্থাই পুরোপুরি পাল্টে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম হওয়ায় এলপিজি গ্যাসের দামও ছিল গ্রাহকদের হাতের নাগালে। ২০১১ সালে এলপিজি গ্যাসের চাহিদা ছিল ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। ৯ বছরেই যা ১৫ গুণ বেড়ে গেছে। বর্তমানে এর চাহিদা প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। বর্তমানে বসুন্ধরা, যমুনা, ওমেরা, টিকে গ্যাস, ওরিয়ন, প্রমিতা, নাভানা, সেনা, বেক্সিমকো, জি গ্যাসসহ ২৫টি  কোম্পানি এলপি গ্যাস বিপণন করছে। কোম্পানিগুলোর এই শিল্পে বিনিয়োগ ৫ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশে এলপিজি আমদানিনির্ভর পণ্য হওয়ায় স্থানীয় এলপিজি অপারেটররা সৌদি আরামকোর কন্ট্রাক্ট প্রাইসের (সিপি) ওপর নির্ভর করে স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে থাকেন। চলতি বছরের জুন  থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। গত জুনে কন্ট্রাক্ট প্রাইস ছিল ৩৩৬ মার্কিন ডলার/এমটি। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৯ মার্কিন ডলার/মেট্রিক টন। অর্থাৎ গত ৪ মাসে সৌদি আরামকোর কন্ট্রাক্ট প্রাইস বেড়েছে ৪৩ ডলার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর