শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

অধরাই থেকে যাচ্ছে চসিকের প্রত্যাশা

২৭টি সেবা সংস্থার কাছে ১১৭ প্রত্যাশা উপস্থাপন

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) সেবা সংস্থাসমূহের কাছে নগর উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জনদাবি প্রত্যাশা করে। কিন্তু এসব প্রত্যাশা পূরণ হয় না। সেবা সংস্থাগুলোর অবহেলা, সমন্বয়হীনতাসহ নানা কারণে নাগরিক সেবার প্রত্যাশাগুলো অধরাই থেকে যায়। ফলে উন্নয়ন কাজে শম্বুকগতি লেগে থাকার অভিযোগ চসিকের।  জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট চসিকের উদ্যোগে ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা’ শীর্ষক সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমন্বয় সভা হয়। সভায় চসিকের পক্ষে ২৭টি সেবা সংস্থার কাছে ১০৮টি বিষয়ে নানা সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়। কিন্তু এসব দাবি সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের কাছে উপেক্ষিতই থেকে যায় বলে অভিযোগ চসিকের। সর্বশেষ গতকাল স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই নগরের ২৭টি সেবা সংস্থার কাছে ১১৭টি প্রত্যাশা উপস্থাপন করা হয়।  চসিকের প্রশাসক খোরশেদ আলম বলেন, আমরা নগর উন্নয়নের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত সংস্থাসমূহের কাছে ১১৭টি বিষয়ে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছি। গতকালের সভায়ও বিষয়টি জোরালো আলোচনা হয়েছে। গতকালের সভায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে ১০০ একর ভূমি গরুর হাট, আধুনিক কসাইখানা, বাস টার্মিনাল, ট্রাক টার্মিনাল ও সমৃদ্ধ নগরীর স্বার্থে অন্যান্য আধুনিক স্থাপনা গড়ে তোলার জন্য চসিকের অনুকূলে বন্দোবস্ত প্রদানে সহযোগিতা, ‘বহদ্দারহাট মোড় থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত চাক্তাই খালের পার্শ্বে মেরিনার্স বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও সন্নিহিত খালসমূহের পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় হুকুম দখলীয় ভূমির বিরোধপূর্ণ অংশের যথাশিগগির সমাধানসহ কয়েকটি কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়।

চট্টগ্রাম ওয়াসার কাছে প্রত্যাশা- রাস্তা কর্তনের পরিকল্পনা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে চসিককে অবহিত করা, অনুমতিপ্রাপ্ত কর্তনকৃত সড়কের কাজ স্বল্প সময়ে সমাপ্ত করে যৌথ পরিমাপ করা, পানিপ্রবাহ সহজ করতে কালভার্ট, ব্রিজের নিচে  স্থাপিত ওয়াসার পাইপগুলো সরিয়ে উঁচু করে বা পাশে স্থাপনের ব্যবস্থা করাসহ আরও কয়েকটি। এভাবে চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের কাছে ১২টি, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের কাছে ১২টি, বন্দরের কাছে ৫টি, পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের কাছে ৮টি, চট্টগ্রাম কাস্টমসের কাছে ১টি, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড চট্টগ্রামের কাছে ৩টি, গণপূর্ত অধিদফতর চট্টগ্রামের কাছে ৩টি, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর চট্টগ্রামের কাছে ৩টি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের কাছে ২টি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ৮টি, স্বাস্থ্য অধিদফতর চট্টগ্রামের কাছে ৬টি, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কাছে ৩টি, বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম ৬টি, র‌্যাব-০৭, চট্টগ্রামের কাছে ২টি, নেভাল প্রভোস্ট মার্শালের কার্যালয় চট্টগ্রামের কাছে ৩টি, পরিবেশ অধিদফতর, চট্টগ্রামের কাছে ৪টি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের কাছে ৩টি, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. চট্টগ্রামের কাছে ২টি এবং এলজিইডি চট্টগ্রাম, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, বিআরটিএ চট্টগ্রাম, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কাছে একটি করে দাবি প্রত্যাশা করা হয়।  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর