শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ

জেএমআইর রাজ্জাক কারাগারে

আদালত প্রতিবেদক

নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের মামলায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে পাঁচ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ আলী সালাম ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, পাঁচ দিন রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নূরুল হুদা আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় আসামিদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তা ও আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ২৯ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক নূরুল হুদা। মামলায় সিএমএসডির যে ৬ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- উপ-পরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিকেল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ এবং সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির। মামলা করার পরে জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে দুদকের একটি দল।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চিকিৎসক-নার্স এবং অন্যদের করোনা থেকে রক্ষার জন্য এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য জেএমআই গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। জেএমআই গ্রুপ ২০ হাজার ৬১০টি মাস্ক সরবরাহ করে। পরে দেখা যায়, ওই মাস্কগুলো এন-৯৫ মাস্ক নয়। সেগুলো ১০টি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়েছিল।

এর আগে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনা, সেসব সরঞ্জাম বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গত ১০ জুন অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর