সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়া স্বাস্থ্য অধিদফতরে কর্মরত ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক। গতকাল দুদকের উপ-পরিচালক ও স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি-সংক্রান্ত অনুসন্ধান দলের প্রধান মো. সামছুল আলমের স্বাক্ষরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো নোটিসে তাদের তলব করা হয়। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবর ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সেগুনবাগিচায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে আসতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে ওইসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুদকে উপস্থিত হতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সহযোগিতা চেয়ে নোটিসে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেন তার নিজের ও স্ত্রীর নামে থাকা পাসপোর্ট, এনআইডি ও আয়কর রিটার্নের অনুলিপি সঙ্গে করে নিয়ে আসেন।
যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী প্রোগ্রামার মো. রুহুল আমিন, প্রধান সহকারী জাহাঙ্গীর হোসের হাওলাদার, অধিদফতরের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান ফকির ও আবু সোহেল। তাদের ১৩ অক্টোবর সকালে কমিশনে হাজির হতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কমিউনিটি ক্লিনিক শাখার সহকারী আনোয়ার হোসেন, উচ্চমান সহকারী মো. শাহনেওয়াজ ও শরিফুল ইসলাম এবং অফিস সহকারী মো. হানিফকে ১৪ অক্টোবর তলব করা হয়েছে।এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের অফিস সহকারী মাসুদ করিম, মো. আলাউদ্দিন, মো. ইকবাল হোসেন এবং কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপার মো. সাফায়েত হোসেন ফয়েজকে ১৫ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
নোটিসে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরে সিন্ডিকেট করে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করে বিদেশে অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহিভর্‚ত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, কমিশনের একটি দল ২০১৯ সাল থেকে অনুসন্ধান চালিয়ে স্বাস্থ্য খাতের ৪৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলাও করেছে দুদক। অন্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।