শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

পশু চোরাকারবারিরা এখন সক্রিয় মাদক চোরাচালানে

রুহুল আমিন রাসেল

পশু চোরাকারবারিরা এখন মাদক চোরাচালানে সক্রিয় হয়ে উঠছে, এমন তথ্য দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবি। সীমান্ত রক্ষাকারী এই বাহিনী বলছে, দেশে পশু চোরাচালান কমেছে। কিন্তু এতদিন যারা পশু চোরাচালানে জড়িত ছিল, তারা এখন মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি। আর সীমান্তে যে সব বিট বা খাটাল রয়েছে, তা নবায়ন বা সৃজন না করতে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে বলেছে রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে বিট বা খাটালের আড়ালে মাদক, অবৈধ অস্ত্র বা অন্য কোনো অবৈধ কর্মকান্ডের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে।  জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের গত ৪ অক্টোবর আসা রাজশাহী চোরাচালান প্রতিরোধ আঞ্চলিক টাস্কফোর্সের ১৬৬তম সভার কার্যবিবরণীতে এই তথ্য উঠে এসেছে। টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ন কবীর খোন্দকার স্বাক্ষরিত কার্যবিবরণীতে গত আগস্টে চোরাচালনবিরোধী অভিযানের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, এই সময়ে ১৩ হাজার ৪২৮টি চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ২৬টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযানে আটক হওয়া পণ্যের মূল্য ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪০ টাকা। টাস্কফোর্সের ওই সভায় অন্যান্য সংস্থার তুলনায় হেরোইন আটক কম হওয়ায় এবং পাচার প্রসঙ্গে বিজিবি জানিয়েছে, চোরাচালানবিরোধী অভিযানের সংখ্যা বাড়িয়েছে বিজিবি। তবে বিস্তীর্ণ সীমান্ত প্রহরার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় তাদের জনবল কম রয়েছে। এই সীমিত জনবল দিয়েই বিজিবি সীমান্তে চোরাচালান ও মানব পাচার রোধে কাজ করে যাচ্ছে। রুটিন কার্যক্রম ছাড়াও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে বিজিবি। এ ক্ষেত্রে সব সংস্থার সহযোগিতা চেয়ে বিজিবি বলেছে, অনেক সময় অভিযানের তথ্য জানতে পেরে অপরাধীরা পালিয়ে যাওয়ায় আসামি গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না।

ওই সভার সভাপতি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ন কবীর খোন্দকার বলেন, চোরাচালান প্রতিরোধে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিভিন্ন দফতরে গতি আনতে হবে। তবেই রাজশাহী বিভাগ মাদকমুক্ত হবে। পাশাপাশি বাজারের অন্যান্য অবৈধ পণ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এটা করতে পারলে দেশীয় পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর