বরগুনায় নিজ গৃহে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। পরিবারের অভিযোগ, রাকিবসহ কয়েকজন যুবক নিহত স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করায় রাগে ক্ষোভে আত্মহত্যা করে। বৃহস্পতিবার রাতে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের পূর্ব বুড়িরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিম বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের পূর্ব বুড়িরচর গ্রামের বেল্লাল গাজীর মেয়ে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বৃহ¯পতিবার সকাল ১০ টার দিকে শিক্ষার্থীর চাচার বাড়ির সামনে বসে একা পেয়ে বখাটে রাকিব শ্লীলতাহানি করেন শিক্ষার্থীকে। পরে মায়ের কাছে বলায় শিক্ষার্থীর মা গিয়ে বখাটে রাকিবকে জুতাপেটা করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ায় শিক্ষার্থী লজ্জায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় কেউ না থাকায় দরজা বন্ধ করে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে নিয়ে আসে। শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করত বখাটে মনির। এ বিষয়ে বরগুনার সদর থানায় গত ৬ মাস আগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মনির হালদারকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করি। সেই মামলায় মনিরের নামে চার্জশিটও দেওয়া হয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। আর মনির এখনো পর্যন্ত পলাতক আছে। মামলার পর থেকে মনিরের ভাই জহির ও ভাগ্নি জামাই চুন্নু আমাদের বিভিন্ন সময়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। গতকাল মনিরের ভাই জহির ও ভাগ্নি জামাই চুন্নু রাকিব নামের একটি ছেলেকে দিয়ে আমার মেয়েকে অপমান করে। এই লজ্জার কারণেই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
