রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

গোরস্থানের কাজের নামে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ

অভিযোগ কাঁকনহাট পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর কাঁকনহাট কেন্দ্রীয় গোরস্থানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, প্লাস্টার ও রং করা হয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে। এজন্য বিল পরিশোধ করা হয় ৬ লাখ ১৭ হাজার টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে একই কাজ ও অর্থের পরিমাণ দেখানো হয়েছে, শুধু ক্রমিক নম্বর পরিবর্তন করে। প্রথমবার এই কাজের ক্রমিক নম্বর ছিল ১০। পরে সেটি দেখানো হয়েছে ৫ নম্বরে।  

এভাবে একই কাজ বারবার বাস্তবায়ন দেখিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভায় বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। পৌরসভার মেয়র আবদুল মজিদ ও সচিব রবিউল ইসলাম যোগসাজশ করে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভয়াবহ এই আর্থিক অনিয়মের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ আমিরুল ইসলাম ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মোর্তজা শেখ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত ৭ অক্টোবর এই অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, যেসব কাজ আগে বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেগুলো আবার নতুন তালিকায় দেখানো হয়েছে। এভাবে প্রায় ৬৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। কাগজপত্রে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুটি অংশে পৌরসভার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই বছর জয়কৃষ্ণপুর গোরস্থানের সোলিং, ঘিয়াপুকুর নতুনপাড়া ঈদগাহ সোলিং, ঘিয়াপুকুর নতুনপাড়া মসজিদের সীমানা প্রাচীর, সটাংগার মোড় ক্লাবের ছাদ ঢালাই, সেরাপাড়া সরকারি গোরস্থানের সীমানা প্রাচীর, কাঁকনহাট কেন্দ্রীয় গোরস্থানের সীমানা প্রাচীর, কাঁকনহাট জামে মসজিদের রাস্তা, ডাকনীপাড়া জামে মসজিদ নির্মাণ, কাদিপুর মসজিদের টাইলস, হঠাৎপাড়া জামে মসজিদের সীমানা প্রাচীর এবং ব্রাহ্মণগ্রাম দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের ছাদ ঢালাই করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর