সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

অর্থ সংকটে ধুঁকছে চট্টগ্রাম সিটি

দেনা ৮৫৫ কোটি ৬৮ লাখ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) গত ৩০ জুলাই পর্যন্ত দেনা ৮৫৫ কোটি ৬৮ লাখ ২৯ হজার ৪০৬ টাকা। এর মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক বাবদ বকেয়া আছে ৪৬ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৪৩ টাকা, ভবিষ্যৎ তহবিলে প্রদানযোগ্য বকেয়া ৩৮ কোটি ৯৭ লাখ ৬৭ হাজার ২২২ টাকা, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ২৬ কোটি ৫৪ লাখ ১৬ হাজার ৮০৯ টাকা এবং পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের পাওনা ১ কোটি ৩৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৬ টাকা। ফলে অর্থ সংকটে ধুঁকছে চসিক। এ কারণে চলমান উন্নয়ন কাজে নানাভাবে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় অর্থ। বিলম্ব হয় প্রকল্প বাস্তবায়ন। বাড়ছে দেনার পরিমাণ, বাড়ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক বাবদ বকেয়া এবং ভবিষ্যৎ তহবিলে প্রদানযোগ্য বকেয়া। অর্থ সংকটে ধুঁকছে নগরের প্রধান এ উন্নয়ন সংস্থাটি। অভিযোগ আছে, গৃহকর এবং আয়বর্ধক প্রকল্প চসিকের আয়ের প্রধান উৎস। কর আদায়ে ধারাবাহিকতা থাকলেও অন্তত গত ১০ বছর ধরে নতুন করে কোনো আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়নি। সৌন্দর্যবর্ধনসহ নানা উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হলেও সেখানে চসিকের চেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই বেশি লাভবান হয়েছে। চসিকের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘চসিকে অর্থ সংকট আছে। গৃহকর ও আয়বর্ধক প্রকল্প আয়ের অন্যতম প্রধান দুটি উৎস।

নানা কারণে গৃহকর আদায়ে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জিত হয় না। কিন্তু আমি গত দুই মাস ধরে চেষ্টা করছি। তবে চসিকের আয় বৃদ্ধি করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা জরুরি। না হয় অর্থ সংকট কাটবে না।’

বর্তমানে চসিকের মোট হোল্ডিং সংখ্যা ১ কোটি ৯৪ লাখ ৪০৫টি। এর মধ্যে সরকারি হোল্ডিং ১ হাজার ৫১৬টি ও বেসরকারি হোল্ডিং ১ লাখ ৯২ হাজার ৮৮৯টি। অন্যদিকে, চসিকের আয়ের দ্বিতীয় প্রধান খাত আয়বর্ধক প্রকল্প। বর্তমানে চসিকের ভূ-সম্পত্তির মধ্যে আছে ১৫টি মার্কেট, ১৭টি ফেরিঘাট, ৫টি পার্ক, ৩টি নার্সারি, ৩টি জবাইখানা, দোকান ৩৩৮৯ ও গণশৌচাগার ৪৩টি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর