সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

মিয়ানমার থেকে এসেছে ১৯৫ মেট্রিক টন পিঁয়াজ

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ২৭ মেট্রিক টন (৫ হাজার ৮০০ বস্তা) পিঁয়াজ এসেছে। গতকাল তিনটি ট্রলারে এই পিঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে এসে পৌঁছায়। কাগজপত্র জমা দিয়ে আমদানি করা এই পিঁয়াজগুলো খালাস শেষে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো সম্ভব বলে বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। গতকাল বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে পিঁয়াজ ভর্তি তিনটি ট্রলার এসেছে। রবিবার ১৯৫ মেট্রিক টন পিঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়। এসব পিঁয়াজ যত দ্রুত সম্ভব খালাস করে বাজারে পৌঁছানো হবে। এর আগে গত ৭ অক্টোবর ১৯ মেট্রিক টন পিঁয়াজ এসেছিল মিয়ানমার থেকে। টেকনাফ শুল্ক বিভাগ জানায়, মিয়ানমার থেকে এ বন্দর দিয়ে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ১৫ হাজার ৭৬৫ দশমিক ১৩৯ মেট্রিক টন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০ হাজার ৩৪৪ দশমিক ১৫৪ মেট্রিক টন, মার্চ মাসে ১১ হাজার ৪৭৩ দশমিক ১০৮ মেট্রিক টন, এপ্রিল মাসে ৪ হাজার ৭০৫ দশমিক ৭৮১ মেট্রিক টন, মে মাসে ৪ হাজার ১৮৫ দশমিক ১৫৭ মেট্রিক টন, জুন মাসে ১৩৭ দশমিক ৪৭৯ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে ৬৪ দশমিক ৭০০ মেট্রিক টন, চলতি মাসে ৭৫ দশমিক ১৯৫ মেট্রিক টন পিয়াজ আমদানি করা হয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার থেকে রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তিনটি ট্রলারে করে ১৯৫ মেট্রিক টন (৫ হাজার ৮০০ বস্তা) পিঁয়াজ এসেছে। কাগজপত্র বুঝিয়ে পেয়ে দ্রুত পিঁয়াজগুলো খালাস করা হচ্ছে। সংকট মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের পিঁয়াজের আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

তিনি জানান, এসব পিঁয়াজ আমদানি করেছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। আমদানি করা পিঁয়াজের বস্তাগুলো ট্রলার থেকে দ্রুত খালাস করে ট্রাকে করে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় গত আড়াই মাস ধরে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য যাওয়া-আসা বন্ধ ছিল। সর্বশেষ চলতি মাসে ১৯ মেট্রিক টন পিঁয়াজ এসেছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর