সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

আবরারের মরদেহ মেডিকেলে নিতে চাপ দেন রাসেল

আদালতে বুয়েট চিকিৎসকের সাক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের পর তাঁর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল (বহিষ্কৃত) চিকিৎসককে বারবার চাপ দেন। গতকাল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে বুয়েট কোয়ার্টারের সহকারী চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুক এলাহী এ কথা বলেন।

জবানবন্দি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ডা. মাসুককে জেরা করেন। এ নিয়ে মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্যগহণ শেষ হলো। জবানবন্দিতে ডা. মাসুক এলাহী বলেন, আবরার হত্যাকান্ডের রাতে বুয়েটের উত্তর গেটে ১০-১৫ জন ছাত্র অ্যাম্বুল্যান্স ঘিরে ধরে এবং তাঁকে দ্রুত অক্সিজেন ও স্ট্রেচার নিয়ে যেতে বলে। তিনি আগে রোগী দেখার কথা বলেছিলেন। এরপর তিনি শেরেবাংলা হলের উত্তর ব্লকে গিয়ে একতলা ও দোতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে আবরার ফাহাদকে শোয়ানো অবস্থায় দেখেন। তাঁর পরনে চেক শার্ট ও কালা টাউজার ছিল। টাউজার ও তোশক প্রস্রাবে ভেজা ছিল। প্রথম দেখাতেই আবরারকে মৃত মনে হয়েছে। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন। সঙ্গে সঙ্গে পাশে যারা ছিল তারা সবাই পালিয়ে যায়। ডা. মাসুক বলেন, কিছুক্ষণ পর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল এসে আবরারকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বারবার চাপ দেন। এরপর রাত ৩টার দিকে হল প্রভোষ্ট জাফর ইকবাল খানকে ফোন করে আবরারের মৃত্যুর খবর দেন বলে ডা. মাসুক আদালতকে জানান। গত ৫ অক্টোবার এ মামলার বাদী ও আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর