সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

পরিষদের তদন্ত প্রতিবেদন ঢাবি ছাত্রীর প্রত্যাখ্যান

ধর্ষণের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

কোটা আন্দোলনের নেতা হাসান আল মামুন ও নুরুল হক নূরের বিরুদ্ধে ওঠা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগের বিষয়ে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদনে হাসান আল মামুনের সঙ্গে ওই ছাত্রীকে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের’ কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছে তারা। তবে তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন ধর্ষকদের গ্রেফতারের দাবিতে অনশনরত সংশ্লিষ্ট ছাত্রী। তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বলে, ‘অভিযোগকারী এজাহারে হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেও হাসান আল মামুন সেটি অস্বীকার করেছেন। একই বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবেই তাদের সঙ্গে পরস্পরের পরিচয় হয়, সাংগঠনিক কাজের সূত্রে নয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের মতো কোনো ঘটনা ঘটছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি কোনো তথ্যপ্রমাণ পায়নি। এমনকি অভিযোগকারীও এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির কাছে কোনো তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি। প্রতিবেদনে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের সঙ্গে অভিযোগকারী ছাত্রীর কখনোই সাক্ষাৎ হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।’ এ ছাড়া মামলার বিবাদীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে প্রতীয়মাণ হয়েছে’ বলেও এতে উল্লেখ করা হয়। এর আগে, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরসহ অপর চারজনের বিরুদ্ধে গত ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর পৃথক দুটি মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ সেপ্টেম্বর সংগঠনের ঢাবি শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল সংগঠনটি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ‘নিরপেক্ষ নয়’ মন্তব্য করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী।

তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদের তদন্ত কমিটির প্রধান যাকে করা হয়েছে, ইয়ামিন বিন মোল্লা, তিনি একে মিথ্যা ও সরকারের ষড়যন্ত্র বলে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন। তিনি যখন একে মিথ্যা মামলা বলে একটা অবস্থান নিয়েই নিয়েছিলেন, পরে যখন তাকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়, তখন তার নিরপেক্ষ অবস্থান থাকে না। সেই জায়গা থেকে আমি মনে করি, এটা নিরপেক্ষ তদন্ত না।

এদিকে, অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও অনশন অব্যাহত রেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার মামলায় হাসান আল মামুন ও নুরুল হক নূরসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেছেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা পরামর্শ নেন। পরে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সুস্থবোধ করলে তিনি আবারও কর্মসূচিতে যোগ দেন। দোষীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর