মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

এবার নোয়াখালীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলোচিত এখলাসপুরে বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি আকবর হোসেন সোহাগের ওপর হামলা এবং তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার আবুল কাশেম পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তিনিও হেনস্তার শিকার হন। নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ বাহিনীর অনুসারী রাসেল, বাবুল মিয়া,          গোলাম আজম (বাবু) পিয়াস, আবু বকর সিদ্দিক (মিঠু), হারুন, জয়নাল আবেদিনসহ সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি ক্যামেরা। এ ঘটনায় নোয়াখালী প্রেস ক্লাবসহ কর্মরত সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের  দাবি জানান। আহত সাংবাদিক আকবর হোসেন সোহাগ বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনিসহ তিন সাংবাদিক জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে বিবস্ত্র করে নারীকে নির্যাতনের আলোচিত ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহে যান। সাংবাদিকরা সোহাগ মেম্বারের বাড়ির সামনের সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে তার সহযোগী মিঠু, জয়নাল, আজাদ, রাসেল ও বাবুলসহ একদল যুবক তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে। এ সময় তারা মাইক্রোবাসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং নিউজ টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাম্যান মেহেদি হাসান ও চ্যানেল এস-এর জেলা প্রতিনিধি ইমাম উদ্দিন সুমনকে মারধর করে।

 একপর্যায়ে তারা সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও অন্য একটি ক্যামেরার মেমোরি কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল কাশেম জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলা হচ্ছে দেখে তিনি দৌড়ে গিয়ে বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকেও নানাভাবে হেনস্তা করে। হামলাকারীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয় এবং গায়ে পরিহিত মুজিবকোট ধরে টানা-হেঁচড়া করে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ চৌধুরী জানান, জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে এর আগেই হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় ১১ জনকে আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংবাদিক আকবর হোসেন সোহাগ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর