মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

দুই হত্যা মামলায় আটজনের ফাঁসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা ও জয়পুরহাট প্রতিনিধি

খুলনার ডুমুরিয়ায় গৃহবধূ টুম্পা রানী ম-ল হত্যা মামলায় স্বামীসহ তিনজনের মৃত্যুদ- ও প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা অর্থদ- করেছেন আদালত। একই সঙ্গে লাশ গুমের অভিযোগে ২০১ ধারায় ওই তিন আসামির ৭ বছর কারাদ- ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন- গৃহবধূর স্বামী প্রসেনজিৎ গাইন (২৭), তার বন্ধু অনিমেষ (২৫) ও বিপ্লব কান্তি ম-ল (৩২)। আসামিদের মধ্যে প্রসেনজিৎ ও বিপ্লব গাইন পলাতক রয়েছেন। এদিকে শিশু অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৫ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী। একই সঙ্গে মামলার পলাতক এক আসামির ৫ লাখসহ অন্যদের ৩ লাখ টাকা করে জরিমানারও আদেশ দিয়েছেন বিচারক। দ-প্রাপ্তরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার বিনধারা গ্রামের উত্তম কুমার সরকার, বিরেন চন্দ্র বর্মন, সন্তেজ সরকার ওরফে টেপলু, মোস্তাফিজুর রহমান রাব্বু ও ওবাইদুল ইসলাম। এর মধ্যে আসামি উত্তম কুমার পলাতক রয়েছেন। আদালতের এ রায় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নিহত শিশুর বাবা পরেশ চন্দ্র।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর দুপুরে পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর মোলান গ্রামের পরেশ চন্দ্রের আড়াই বছরের শিশুকন্যা আরাধা রানী বাড়ির পাশে খেলাধুলা করার সময় নিখোঁজ হয়। পরে শিশুটির বাবা পরেশ চন্দ্র ওই দিনই পাঁচবিবি থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।

মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশুটিকে ২২ ডিসেম্বর দুপুরে অপহরণের পর মুখ ও হাতে স্কচ টেপ দিয়ে বেঁধে আসামি বিরেশ চন্দ্রের বাড়িতে বাক্সবন্দী করে রাখা হয়। পরে সেখানেই শিশুটি মারা গেলে ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে শিশুটির মরদেহ বাড়ির অদূরে একটি পুকুরপাড়ে ঢিলের নিচে চাপা দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। ২৫ ডিসেম্বর ভোরে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।

সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ ম ল পিপি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি ফিরোজা চৌধুরী, নন্দ কিশোর আগরওয়ালা ও মোস্তাফিজুর রহমান। আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন রফিকুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, হেনা কবির, শহিদলু ইসলাম ও আবু কাউছার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর