বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল (হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর) সিএস/আরএস অনুসারে জরিপ করে দখলদারদের নাম-ঠিকানাসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। তিন মাসের মধ্যে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের দায়ের করা আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, চার নদীর অবৈধ দখল বন্ধে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নদীর সীমানা জরিপ করে দখলদারদের উচ্ছেদসহ ৯ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে জরিপের সময় হাজারীবাগ-কামরাঙ্গীরচর এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীর অংশ আদি চ্যানেলের বাইরে থাকায় এইচআরপিবির পক্ষ থেকে ২০১৫ সালে সম্পূরক আবেদন করা হয়। আবেদনে ওই এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর অংশ জরিপ করে দখলদারদের চিহ্নিত করার আবেদন জানানো হয়।