বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনায় সংকটের বেড়াজালে নারী উদ্যোক্তারা

লোকসানে ব্যবসা গুটিয়েছেন অনেকেই

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

করোনার সময় পণ্য বিক্রি বন্ধ, ব্যবসায় ধস, ব্যাংকে ঋণ সুবিধা না পাওয়া, পুঁজির ঘাটতিসহ নানা সংকটে পিছিয়ে পড়েছেন খুলনার নারী উদ্যোক্তারা। লোকসানের মুখে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন অনেকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সংকটময় মুহূর্তে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ দিতে পারলে অর্থনীতিতে সুফল মিলবে। খুলনার নারী উদ্যোক্তা ‘বনডেস্ক নন ওভেন ব্যাগ মেকিং অ্যান্ড প্রিন্টিং প্রেস’-এর মালিক আশরাফুল ফেরদৌসী বিপাশা জানান, করোনায় সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা ছিল পণ্য বিক্রি কমে যাওয়া। তারপরও ব্যাংক ঋণ না পেয়ে অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন বা দিতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া স্টকে বসে যাওয়া পণ্য পুনরায় বিক্রি, কাস্টমার হ্যান্ডেলিং ও তাদের পছন্দ অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন, সেই পণ্য কীভাবে ভোক্তা পর্যায়ে যাবে- এসব নিয়েও দুশ্চিন্তা ছিল। নিউ মার্কেট এলাকার অপ্সরা বিউটি সেলুনের মালিক চিশতী মুসতারী বানু জানান, নারী উদ্যোক্তা যারা প্রসাধন ও ফ্যাশন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তারা বেশি সমস্যায় পড়েছেন। ২০ শতাংশ বিউটি পারলার বন্ধ হয়ে গেছে।

লকডাউনের পর কিছু পারলার খুললেও আগের মতো কাস্টমার নেই। বাড়ি ভাড়া, হোল্ডিং ট্যাক্স, কর্মচারীর বেতন দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে ব্যবসায় মন্দার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে ও কর্মসংস্থান হারিয়েছে অসংখ্য শ্রমিক।

জানা যায়, নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে অনেকের ট্রেড লাইসেন্স বা নিবন্ধন নেই। ফলে প্রায় ৬৫-৭০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা সরকারের দেওয়া প্রণোদনার জন্য আবেদন করতে পারেননি।

এদিকে খুলনায় পিছিয়ে পড়া নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় টিকিয়ে রাখতে ‘নতুন ব্যবসা সৃষ্টি’ বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় প্রধান শামীমা সুলতানা শিলু বলেন, ব্যাংক ঋণ পেতে কীভাবে আবেদন করতে হবে- এটাই অনেকে জানেন না। এছাড়া সংকটের সময় টিকে থাকতে মূল ব্যবসার পাশাপাশি সহায়ক ব্যবসা, হিসাব সংরক্ষণ পদ্ধতি, পণ্য বাজারজাতকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে সংকটের মুহূর্তে টিকে থাকতে পারে নারী উদ্যোক্তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর