সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে বেতন পাবেন। গতকাল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

তথ্যমতে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন এর আগে ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও আগের বিধিমালায় নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। আগের বিধিমালা অনুসারে এসএসসি বা এইচএসসি পাস করা শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতন দেওয়া হচ্ছিল না। বর্তমানে নতুন ও পুরাতন বিধিমালায় নিয়োগ পাওয়া সব সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে বেতন পাবেন। সব শিক্ষককে ১৩তম গ্রেডে বেতন দিতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বিভাগে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১৪ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং বেতন গ্রেড-১৫ (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে গ্রেড-১৩-তে উন্নীত করা হয়। কিন্তু অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্রে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ এর যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে। এদিকে ২০১৯ সালের বিধিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা স্নাতক পাস নির্ধারণ করা হয়। তবে এ বিধিমালা কার্যকর হওয়ার আগে অনেক শিক্ষক এইচএসসি নিয়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮৩’-তে নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারিত ছিল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৯১-তে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৩-তে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক। অর্থ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সব শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কাজেই আগের বিধিমালার আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত সব সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে বেতন পেতে পারেন বলে এ মন্ত্রণালয় মনে করে।