শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

কর্মসংস্থানে আলো দেখাচ্ছে হোম ডেলিভারি

কাজ করছেন ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ

শামীম আহমেদ

কর্মসংস্থানে আলো দেখাচ্ছে হোম ডেলিভারি

উপজাতি যুবক বিপুল। নম্র ও বিনয়ী। করোনা পরিস্থিতিতে যখন লাখো মানুষ কর্মহীন হয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখাচ্ছিলেন, তখন সহজেই বিপুলের কাজ মিলে যায় একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে। গত সাড়ে পাঁচ মাস ‘চালডাল ডটকম’-এ হোম ডেলিভারির কাজ করছেন তিনি। সাইকেল চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন বিভিন্ন পণ্য। খুশি বেতন-ভাতায়। নির্দিষ্ট বেতনের পাশাপাশি পান হাজিরা বোনাস। দৈনিক ১৭টির বেশি অর্ডার ডেলিভারি করলে পান আলাদা আর্থিক মুনাফা।

শুধু বিপুল নন, করোনা পরিস্তিতিতে ই-কমার্সের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে হোম ডেলিভারিতে। সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান কারও কাছে না থাকলেও সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে হোম ডেলিভারিতে কাজ করছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ, যার একটি বড় অংশ কলেজ ও বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আবার অনেকে নিজের পণ্য নিজেই ডেলিভারি করছেন। ডাক ও কুরিয়ার সার্ভিসের রুগ্ন দশার মধ্যে ই-কমার্সের প্রসার ফের চাঙ্গা করে তুলেছে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবসাকে। ডেলিভারিকেন্দ্রিক আত্মপ্রকাশ ঘটেছে ড্রপবিডি ডটকম, রেডএক্স ডেলিভারি ডটকম এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ই-কমার্সের বাজার ৮ হাজার কোটি টাকার। সংগঠনটির সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমানে ই-ক্যাবের সদস্য ১ হাজার ৩৫০-এর মতো। হোম ডেলিভারিতে কাজ করছেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ।

ই-কমার্সে মোট কর্মসংস্থান হয়েছে ২ লক্ষাধিক মানুষের। হোম ডেলিভারির জন্য কর্মী চাহিদা প্রতিদিনই বাড়ছে। করোনার কারণে অর্থনৈতিক ধাক্কাটা সামলে উঠলে এ খাতে কর্মী চাহিদা বছরের মধ্যেই দ্বিগুণ হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনার এ সময়ে বাংলাদেশে অনলাইন কেনাকাটা বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও অনলাইনে পণ্য বিক্রি করছেন অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। এখন তো ১৩ লাখ মুদি দোকানও অনলাইন প্লাটফরমে আসছে। স্বপ্ন, মিনা বাজারের মতো অধিকাংশ সুপারশপ ইতিমধ্যে অনলাইন প্লাটফরমে চলে এসেছে। এসব প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তার পণ্য ডেলিভারিতে প্রচুর কর্মসংস্থান হচ্ছে। আশা করছি, ২০২৫ সালের মধ্যে শুধু ই-কমার্স থেকেই আরও পাঁচ লাখ কর্মসংস্থান হবে।

সর্বশেষ খবর