শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

দুর্গাপূজায় এবার মিছিল-শোভাযাত্রা বন্ধ থাকবে

-ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্গাপূজায় এবার মিছিল-শোভাযাত্রা বন্ধ থাকবে

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবে মিছিল ও শোভাযাত্রা বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি উৎসব পালনের সময় স্বাস্থ্যবিধি এবং সব সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে। গতকাল ডিএমপি সদর দফতরে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত আকারে করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে দর্শ্বনার্থীদের পূজামন্ডপে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে। সমন্বয় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব, আনসারের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি ও বাংলাদেশ রামকৃষ্ণ মিশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকদের প্রতি নির্দেশনা : পূজামন্ডপের প্রবেশপথে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেসিন, পানির ট্যাংক, সাবান এবং আলাদাভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, থার্মাল স্ক্যানার ও জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনোক্রমেই মাস্ক ছাড়া কাউকে পূজামন্ডপে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। পূজামন্ডপগুলোতে সামাজিক দূরত্ব কমপক্ষে তিন ফুট কঠোরভাবে বজায় রাখতে- প্রয়োজনে মন্ডপের অভ্যন্তরে ফ্লোর মার্কিং করার ব্যবস্থা করতে হবে। পূজামন্ডপে আলাদা প্রবেশ ও বের হওয়ার গেট, আর্চওয়ে, সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ভিডিও রেকর্ডিং নিশ্চিত করাসহ মেটাল ডিটেকটর দিয়ে যথাযথভাবে দেহ তল্লাশির জন্য পর্যাপ্ত পুরুষ ও নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। পূজামন্ডপগুলোতে একমুখী চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। করোনাকালীন বিশেষ পরিস্থিতিতে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের পূজামন্ডপে আসতে নিরুৎসাহিত করতে হবে। শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্বোধন উপলক্ষে সীমিত লোকসমাগম করে অনুষ্ঠান করতে হবে। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও অনলাইনে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে দুর্গাপূজার অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। পূজা শেষে লোকসমাগম করে কোনো সমাপনী অনুষ্ঠান করা যাবে না। পূজা উপলক্ষে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা, সার্কাস ইত্যাদি আয়োজন করা যাবে না এবং উচ্চশব্দে বাজনা বাজানো নিরুৎসাহিত করাসহ পটকা ও আতশবাজি না ফোটানো নিশ্চিত করতে হবে। শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জন পরিহার করতে হবে। তবে শুধু বিসর্জনকালীন প্রতিমা বহন করার জন্য একটি ট্রাকে ন্যূনতম সংখ্যক লোক থাকবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ট্রাক/গাড়ি বা লোক থাকতে পারবে না। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর