শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে হাজার কোটি টাকার মালামাল অরক্ষিত

কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রাতের আঁধারে চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত সাতটি পাটকলে বর্তমানে ব্যবহার উপযোগী তাঁত রয়েছে ৫০৩৮টি। যার মূল্য প্রায় ২৫১ কোটি টাকা। এ ছাড়া মিলগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ও মূল্যবান যন্ত্রাংশ রয়েছে আরও হাজার কোটি টাকার। কিন্তু গত ২ জুলাই থেকে মিলগুলো বন্ধ হওয়ার পর এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ক্রিসেন্ট ও জে জে আই জুট মিলের দুই লাখ ৭২ হাজার টাকার মালামাল চুরির ঘটনায় মামলা করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। এদিকে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত সাতটি পাটকলে অবসরপ্রাপ্ত ও অবসান করা শ্রমিকদের ১৬৭৭ কোটি টাকা চূড়ান্ত পাওনা রয়েছে। বিজেএমসি কর্মকর্তারা বলছেন, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের পর মিলগুলো আধুনিকায়ন ও পুনর্বিন্যাস শেষে চালু করা হবে। জানা যায়, ক্রমাগত লোকসানের কারণ দেখিয়ে গত ২৫ জুন খুলনা অঞ্চলের ৯টিসহ দেশের ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর ২ জুলাই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হলে মিলগুলোতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিক নেতারা বলছেন, বেশিরভাগ মিল নদী তীরবর্তী হওয়ায় অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রাতের আঁধারে মিলের মালামাল চুরি হচ্ছে। পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা বলেন, দুর্নীতির কারণে বছরের পর বছর মিলগুলোতে লোকসান হয়েছে। কিন্তু এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত হয়নি। তবে মিলগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের কথা জানান বিজেএমসি আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, আগামী ১৯ অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। এরপর মিলগুলোকে আধুনিকায়ন ও পুনর্বিন্যাস শেষে চালু করা হবে।

জানা যায়, খুলনায় পাটকলে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়া ১০ হাজার ৩৬৪ শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকে ১১৬২ কোটি টাকা, অবসরপ্রাপ্ত ৪ হাজার ৬৮০ জন শ্রমিকের ৩৭২ কোটি টাকা ও বদলী ২১ হাজার ৩৫১ জন শ্রমিকের ১১৪ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এ ছাড়া আরও ২৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা রয়েছে বকেয়া মজুরি বাবদ পাওনা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর