শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটি সাত বছর

চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। দীর্ঘ সাত বছর আগে তিন মাসের জন্য করা আহ্বায়ক কমিটি এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। থানা এবং ওয়ার্ড কমিটিও করতে পারেননি। নগর যুবলীগের শীর্ষ নেতারা কমিটি না হওয়ার পেছনে নানা যুক্তি ও সমস্যার কথা বললেও তাদের দায়িত্বহীনতা ও জবাবদিহি না থাকার কারণে এসব কমিটি হয়নি। অন্যদিকে কমিটির শীর্ষ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, নানা ধরনের দখল-বেদখলসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে সেই আহ্বায়ক কমিটির শীর্ষ একাধিক নেতা যুবলীগ ছেড়ে আগামীতে আওয়ামী লীগ করবেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়ার পরও নানা জটিলতায় দীর্ঘ সময়েও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে যেহেতু কেন্দ্রীয় যুবলীগে নতুন নেতৃত্ব এসেছেন, সেখানে কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আগে জেলা কমিটি বা চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের কমিটি গঠন সহসা হচ্ছে না। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন মাসের জন্য গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি এখন সাত বছর অতিক্রম করছে। এ সাত বছরে নগরের ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের ৭টিতেও করতে পারেনি কমিটি। যে ৫টি ওয়ার্ডে কমিটি করেছে সেগুলো নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। ২০১৩ সালের ১৩ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের ১০১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে আহ্বায়ক ও দেলোয়ার হোসেন খোকা, ফরিদ মাহমুদ, মাহবুবুল হক ও দিদারুল আলমকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তঃকোন্দল ক্রমেই প্রকাশ হয়ে পড়ছে।

 নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আহ্বায়কদের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। এদিন নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসংলগ্ন মুসাফিরখানা মসজিদে ও অন্য চার যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, ফরিদ মাহমুদ, মাহবুবুল হক ও দিদারুল আলম লালদীঘি জামে মসজিদে মিলাদের আয়োজন করেন। এ কর্মসূচি নিয়ে তারা গণমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন। এর আগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর নগরের লালদীঘি মাঠে যুবলীগের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‌্যালির আয়োজন করেছিল মহানগর যুবলীগ। দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির কারণে সভা প- হয়ে যায়। মারামারিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলরসহ ১২ জন আহত হন।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর