শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

পণ্য পরিবহন খরচের সঙ্গে কমবে সময়

বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিতীয় নৌরুট চালু শিগগিরই

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহী অংশের পদ্মা আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দার উত্তরেই ভারতের লোকালয় মায়া। বাংলাদেশ অংশের লোকালয় সুলতানগঞ্জের সঙ্গে মায়ার দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। আর এই পথেই চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকলের দ্বিতীয় সংযোজন রাজশাহী-ধুলিয়ান নৌপথে পণ্য আনা নেওয়া কার্যক্রম। নৌরুটে চালু হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে রাজশাহীর পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে পুরোপুরিভাবে পণ্য পরিবহন চালু হতে যাচ্ছে এই নৌ-রুটে। শুরুর দিকে আনা হবে বালু, পাথর ও খাদ্য সামগ্রী। রফতানি করা হবে পাট ও কৃষিজাত পণ্য। এতে লাভবান হওয়ার আশা দুদেশের। রাজশাহী থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটারের একটি নৌপথের অনুমোদন থাকলেও সেটি কার্যকর নয়। এ জন্য নতুন পথটি সংক্ষিপ্ত করে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ থেকে মুর্শিদাবাদের মায়া নৌবন্দর পর্যন্ত পণ্য চলাচলের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এই পথের দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। অনেকটা আড়াআড়িভাবে পদ্মা নদী পাড়ি দেবে পণ্যবাহী নৌযান। বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল সম্প্রতি জানিয়েছে, নৌরুটটি আরিচা পর্যন্ত বর্ধিত করতে নেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মহিদুল ইসলাম জানান, মন্ত্রণালয়ের দুটি সভাতেই রাজশাহী-ধুলিয়ান নৌরুটটি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি আরিচা পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন তারা। ব্যবসায়ী ও নৌরুট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ছোট-বড় জাহাজ ও মাঝারি নৌযান চলাচল করতে পারবে এই নৌ-পথে।

ভারত থেকে আনা পণ্য মজুদ রাখতে সুলতানগঞ্জের পদ্মা পাড়ে জমি ইজারা নিয়েছেন আমদানিকারকরা। রাজস্ব আদায়ের অবকাঠামো উন্নয়নের পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।

উইনশিপ লজিস্টিক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ বশির আহমেদ জানান, বর্ষায় ১ হাজার ২০০ টন ও শীতকালে ৫০০ টন পণ্য আনা-নেওয়া করা যাবে এই রুটে। সেজন্য তারা প্রয়োজনীয় জাহাজ ও ইঞ্জিন চালিত নৌযান প্রস্তুত রেখেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমদানিকারক আবু সাঈদ জানান, সড়ক ও রেলপথে এখন পণ্য আনা-নেওয়া হচ্ছে। এতে খরচ বেশি হয়। এই রুটটি চালু হলে খরচ কমবে। তারা ইতিমধ্যে সুলতানগঞ্জে জমি ইজারা নিয়েছেন।

রাজশাহী কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার সাধন কুমার কু-ু জানান, শুল্ক আদায়ের জন্য যেসব অবকাঠামো প্রয়োজন, সেগুলো নির্মাণে সরকারের অনুমোদন পাওয়া গেছে। তারা সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন।  

বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্ত দিয়ে নৌপথ চালু করলে দুই দেশই উপকৃত হবে। এক মাসের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এই নৌপথ চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর