আসন্ন শীতে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক ব্যবহার শুরু করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ ইংল্যান্ডের তৈরি ‘নোভালিওরন’ নামের কীটনাশক ব্যবহার শুরু হবে। এ কীটনাশকটি একবার ছড়ানো হলে ৯০ দিন কার্যকর থাকে বলে জানা গেছে। ডিএনসিসি-সূত্রে জানা যায়, জলাধার, ডোবা বা বদ্ধ পানিতে একবার এ লার্ভিসাইড ছিটানোর পর কমপক্ষে দুই মাস মশার লার্ভা জন্ম নেয়নি। এটা প্রাথমিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদের তত্ত্বাবধানে ও উত্তর সিটির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পৃথকভাবে তিন মাসব্যাপী সফল পরীক্ষা চালানো শেষে এ কীটনাশকটি আজ থেকে মাঠপর্যায়ে ব্যবহার করা হবে। নতুন ওষুধ হবে শুধু মশার জন্য বিষ। মানুষসহ অন্য কোনো প্রাণী এ বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হবে না। ফলে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি নিশ্চিত হবে পরিবেশ রক্ষা। এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোস্তফা সারওয়ার বলেন, মশা নিধনে চতুর্থ প্রজন্মের স্বাস্থ্যসম্মত শক্তিশালী ‘নোভালিওরন’ নামের কীটনাশকের ব্যবহার শুরু হচ্ছে। ইংল্যান্ড থেকে আনা এ ওষুধে সব মশা মড়বে এবং পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। তিনি আরও বলেন, প্রতি ১০ লিটার পানিতে মাত্র ২ গ্রাম নতুন এ ওষুধ (লার্ভিসাইড) মিশিয়ে একবার ছিটালে তা কার্যকর থাকবে কমপক্ষে দু-তিন মাস। ডিএনসিসির মহাখালীর নির্মিত কাঁচাবাজারের নিচতলায় এ নতুন ওষুধ ছিটিয়ে তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে। দুই মাসে ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষায় সফলতাও মিলেছে। সেখানে ওষুধ ছিটানোর পর নতুন করে আর মশার লার্ভা জন্ম নেয়নি।