রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিকাশ প্রতারক চক্রের প্রধানসহ গ্রেফতার ৯

মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও ল্যাপটপ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ বিকাশ প্রতারক চক্রের প্রধানসহ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন- মো. সাইফুল ইসলাম, মো. লিটন হোসেন, মো. জুবায়ের শেখ, মো. গোলাম কিবরিয়া মন্ডল, মো. ইমরান মোল্লা, মো. শাওন হোসাইন ম-ল, মিনজারুল ইসলাম মোল্লা,  মো. আশরাফ মোল্লা ও সাগর আহম্মেদ। শুক্রবার রাতে গ্রেফতার নয়জনের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মডেলের পাঁচটি মোবাইল ফোন, ১০টি সিমকার্ড এবং একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। ডিবি বলছে, গ্রেফতার নয়জনের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল ওই মামলায় তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ডিসি মীর মোদাছছের হোসেন জানান, গ্রেফতার বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রধানত চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করে থাকে। প্রথম গ্রুপ মাঠপর্যায়ে অবস্থান করে বিভিন্ন বিকাশের দোকানে টাকা বিকাশ করার কথা বলে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে আগে লেনদেনকৃত বিকাশ খাতার ছবি তুলে নেয়। পরে ওই ছবি হোয়াটসঅ্যাপ-এ দ্বিতীয় গ্রুপের কাছে স্থান উল্লেখ করে পাঠিয়ে দেয়। দ্বিতীয় গ্রুপ তার কাছে পাঠানো বিকাশ খাতা থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন নম্বরে বিকাশ দোকানদার সেজে কল করে এবং জানতে চায় যে, তাদের কাছে পাঠানো টাকা তারা পেয়েছেন কিনা এবং ক্যাশ আউট করেছেন কিনা। যদি বলে পেয়েছে কিন্তু টাকা তোলেনি বা ক্যাশ আউট করেনি তখন প্রতারকরা তাদের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে। তারা বলে, আমার দোকান থেকে একই সময়ে কয়েকটি নম্বরে পাঠানো টাকা নিয়ে অভিযোগ আসায় তাদের নম্বর লক করতে গিয়ে আপনার নম্বরও লক হয়ে গেছে। আপনাকে বিকাশ আফিস থেকে ফোন করে আনলক করে দেবে।

অল্প সময়ের ব্যবধানে তৃতীয় গ্রুপ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস অফিসার পরিচয় দিয়ে, অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে বিকাশ অফিসের নম্বর ক্লোনিং করে ফোন দেয়। ফোন করে বিভিন্ন কথার ছলে ওটিপি এবং বিকাশ পিনকোড নিয়ে নেয়। পরবর্তী সময়ে গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে প্রতারক চক্র অ্যাকাউন্ট আনলক করার কথা বলে ভিকটিমের বিকাশ অ্যাকাউন্ট এবং প্রতারক চক্রের বিকাশ অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন পরিমাণ টাকা দিতে বলে। এভাবে হাতিয়ে নেওয়া টাকা মাঠপর্যায়ে থাকা সর্বশেষ অর্থাৎ চতুর্থ গ্রুপের কাছে পাঠানো হয়। যারা বিভিন্ন হাত বদল করে ক্যাশ আউট করে।

সর্বশেষ খবর