রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

কেটে ফেলা হচ্ছে পাখির অভয়ারণ্যের গাছ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

কেটে ফেলা হচ্ছে পাখির অভয়ারণ্যের গাছ

রংপুর জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনেই কয়েকশ গাছে পাখির অভয়ারণ্য গড়ে ওঠেছে। সেখানকার গাছগুলোকে মরা, শুকনা, পোকা খাওয়া ও ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে কেটে ফেলছে জেলা পরিষদ। সচেতন মানুষ বলছেন গাছগুলো কেটে ফেলায় পথিকরা যেমন গাছের ছায়া থেকে বঞ্চিত হবে তেমনি পাখির অভয়ারণ্য ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে পরিবেশ। প্রবেশ পথের দুই ধারে লাগানো দেবদারু গাছের ছায়া পেরিয়ে যেতে হয় রংপুর জেলা পরিষদ কার্যালয়ে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো বিশালাকার দেবদারু গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। কেটে ফেলা হচ্ছে জেলা পরিষদ ভবনের সামনে ও পেছনে লাগানো আম, কাঁঠাল, মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। ঠিকাদার কার্যাদেশ পাওয়ার পর ৩৮টি গাছের মধ্যে জেলা পরিষদ ক্যাম্পাস থেকে ইতিমধ্যে ২০টির বেশি গাছ কেটে ফেলেছে। সূত্রে জানা গেছে, দরপত্রের পর তিন লাখ একাত্তর হাজার টাকায় জেলা পরিষদ নগরীর কাঠ ব্যবসায়ী জিপু বসুনিয়াকে গাছকাটার কার্যাদেশ দেয়। গাছ কাটার কারণ হিসেবে চিঠিপত্রে জীবন্ত গাছগুলোকে মরা, শুকনা ও পোকা খাওয়া দেখিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করা হয়। বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল সংলগ্ন দু-একটি গাছ থাকলেও জেলা পরিষদ ভবনের সামনে ও পেছনের কাটা হচ্ছে ৩৮টি গাছ।

রংপুর বসুনিয়া ফার্নিচারের মালিক বলেন, গাছকাটা শুরু হয়ে গেছে। সামান্য কিছু বাকি আছে। আমি তো কিনে নিয়েছি, আমার কিছু করার নেই। রংপুর জেলা পরিষদ  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, গাছগুলোর ভিতর নষ্ট হয়ে গেছে। যে কোনো সময় মানুষের গায়ে পড়তে পারে। সে জন্য দুর্ঘটনা  রোধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর